কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: রেল আবাসন (rail quarter) থেকে পুলিশ অফিসারের (police officer) দেহ (body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে (asansol)।


কেন চাঞ্চল্য?


পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নিতাই হালদার। আসানসোল উত্তর থানার ফৈয়জ-ই-আম ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। গত কাল রাতে নাইট শিফট সেরে আজ সকালেই ফিরে আসেন মহুল ডাঙার রেল আবাসনে। দুপুর দুটো নাগাদ ফের অফিস যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাননি। সহকর্মীদের সন্দেহ হয়। নিতাইকে খুঁজতে আসেন অন্য পুলিশকর্মীরা। এর পরই চাঞ্চল্যকর খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আসানসোল উত্তর থানার ফৈয়জ-ই-আম ফাঁড়িতে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর বা এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন নিতাই। মহুয়া ডাঙার রেল আবাসনে একাই থাকতেন। কী ভাবে হঠাৎ তাঁর মৃত্য়ু এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ। আসানসোল জেলা হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। তার পরই হয়তো কিছু জানা যাবে, ধারণা একাংশের।


কোথায় রহস্য?


এদিকে নিতাই হালদারের বাড়ির লোক সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি। সব মিলিয়ে এএসআইয়ের মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। সূত্রে খবর, আজ অন্য পুলিশকর্মীরা তাঁকে খুঁজতে এসে রেল আবাসনে পাঁচিল টপকে ঘরে ঢোকেন। দেখেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এএসআই। পরে হাসপাতাল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 
পুলিশকর্মীর সন্দেহজনক মৃত্য়ু রাজ্যে একেবারে নতুন নয়। গত মে মাসেও ডিউটি থেকে ফেরার পথে ডায়মন্ড হারবারে রহস্যমৃত্যু হয় সমীর দাস নামে এক এএসআইয়ের। হাওড়ার বাসিন্দা সমীর দাস ডায়মন্ড হারবার থানার এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। ৩১ মে সকালে সেখানকারই একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে রাস্তার ধারে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আশঙ্কা পরিবারের। যদিও পুলিশের দাবি, বাসের ধাক্কায় মারা গিয়েছেন সমীর।


আরও পড়ুন:বোনকে 'শ্লীলতাহানির চেষ্টা', সম্ভ্রম বাঁচাতে অভিযুক্তকে হত্যা করল দাদা