সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: স্বামী জীবিত অথচ মিলছে বিধবা ভাতা। নদিয়ার রানাঘাট দুই নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সামনে এল এমনই একটি ঘটনা।
কী বলছেন প্রাপক:
বৈদ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা মানিক পাল জীবিত রয়েছেন, তবুও তাঁর স্ত্রী মিলনরানি বিধবা ভাতা পাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। বিধবা ভাতা পাওয়া নিয়ে মিলনরানি পালের দাবি, 'আমরা পঞ্চায়েতে বার্ধক্য ভাতার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কী করে সেটা বিধবা ভাতা হয়ে গেল, বলতে পারব না। তবে আমার স্বামী রয়েছেন। এর আগে লক্ষীর ভান্ডার পেতাম। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার বর্তমান বয়স ৬০ বছর।'
প্রধানের দাবি:
বৈদ্যপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান কৃষ্ণ রায় অবশ্য বলেন, 'দুয়ারে সরকার প্রকল্পে অনেকেই বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। সেখানে ভুলবশত বার্ধক্য ভাতার পরিবর্তে বিধবা ভাতা হয়ে গিয়েছে। এখানে পঞ্চায়েত বা আবেদনকারীর কোনও ভুল নেই। তবে এর পেছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে। বিজেপি এই সমস্ত কাজ করাচ্ছে।'
বিজেপির কটাক্ষ:
বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বৈদ্যপুর এক নম্বর অঞ্চল সভাপতি বিজেপির অনুকূল সরকার বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের এটা কালচারে পরিণত হয়েছে। স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও মৃত প্রমাণিত করে, সেই ভাতার টাকা এরাই তুলে খাচ্ছে। অথচ দায় চাপাচ্ছে বিজেপির নামে। অঞ্চলটা তৃণমূলের দখলে। আর এই সরকার চোরদের সরকার, দুর্নীতির সরকার।'
আরও পড়ুন: হার্টের অসুখের প্রধান কারণই ব্লকেজ, কোন কোন পরীক্ষায় আগাম ধরা পড়বে ?