হিন্দোল দে, কলকাতা : বেলেঘাটার পর নারকেলডাঙা (Narkeldanga)। শহরে ফের তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষ। পার্ক তৈরি নিয়ে কাউন্সিলর অনুগামীদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কর্মীদের। মাথা ফাটে এক তৃণমূল কর্মীর। ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল কর্মীরা।
পার্ক তৈরির আবেদনে সায় দিয়েছেন খোদ মেয়র। তারপরও তাণ্ডব। বেলেঘাটার (Beleghata) পর এবার নারকেলডাঙা। খাস কলকাতায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মারপিটে ঝরল রক্ত। মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর।
অশান্তির শুরু নারকেলডাঙার ক্য়ানেল ওয়েস্ট রোডে খালপাড়ের ধারে এই জমিকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, এই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে পার্ক তৈরির আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিংহ। সম্প্রতি টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) ফোন করে, নিজেদের আর্জির কথা জানান স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হায়দার নওয়াজ।
মেয়রের আশ্বাসের পর, গত শনিবার, এলাকা পরিদর্শনে যান পুরকর্মীরা। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় এলাকা। অভিযোগ, এরপরই ওই এলাকায় পার্ক তৈরি আটকাতে কয়েকটি ভ্য়াটের গাড়ি বসিয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। রবিবার খুলে দেওয়া হয় বাঁশ। বুধবার সকালে এলাকায় পুরকর্মীরা গেলে, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুরকর্মীদের সামনেই, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান কাউন্সিলর। কাউন্সিলরের অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি বেঁধে যায়। রক্তাক্ত হন এক তৃণমূল কর্মী।
কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিংহ বলেছেন, 'যে জায়গাটা পার্ক করতে বলেছে, সেটা ইরিগেশনের জায়গা। মেয়র সাহেব পার্ক করতে বলেননি। প্ল্য়ানটেশন করতে বলেছেন। নওয়াজ হায়দারের বাড়ি। ও চায় ওখানে পার্ক হোক। আমি কেন মারধর করব। আমাকে লোক ভালো বাসে। ওখানকার সাধারণ মানুষ আমার সাথে। বাইরের ওয়ার্ডের লোক এসে যদি এটা করে, কীকরে হবে ?'
আরও পড়ুন- বজ্রপাত-দমকা ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা, রাজ্যজুড়ে আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলর সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারকেল ডাঙা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরম থেকে শরীরকে বাঁচাতে পাতে রাখুন এই খাবারগুলি