ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, হাঁসখালি: হাঁসখালিতে ‘গণধর্ষণ-খুন’, সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতার। রানাঘাট থেকে অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিককে গ্রেফতার করল সিবিআই। রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগর ক্যাম্পে আনা হচ্ছে অভিযুক্তকে। হাঁসখালিকাণ্ডে ধৃতদের জেরা করে তৃতীয় অভিযুক্তের হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। অভিযোগ ওঠার পরেই সপরিবারে ফেরার ছিল অভিযুক্ত। হাঁসখালিকাণ্ডে নির্যাতিতার মা-দাদার বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। 


হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতার: অভিযোগ গত ৪ এপ্রিল জন্মদিনের যে পার্টি হয়েছিল এবং যে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে উপস্থিত ছিল সে। ১০ এপ্রিল ব্রজ গ্রেফতার হওয়ার পরই সপরিবারে গা ঢাকা দেয় রঞ্জিত। গতকালই সিবিআই আধিকারিকরা রঞ্জিতের বাড়িতে যান। কিন্তু তালা ঝুলছিল বাড়িতে। বাড়ি সিল করে দেন তদন্তকারী অফিসাররা। রঞ্জিতের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। আজ তাকে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হতে পারে। সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারে বলে সূত্রের খবর। 


এদিন সিবিআই দফতরে ডাকা হয় নির্যাতিতার মা ও জ্যাঠতুতো দাদাকে। সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় নাবালিকার মা, বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর আজ ফের নির্যাতিতার মা ও জ্যাঠতুতো দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহ। সূত্রের খবর, হাঁসখালিকাণ্ডে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অভিযুক্তদের নিয়ে আসা হয়েছে কৃষ্ণনগরে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে। 


হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এরইমধ্যে নদিয়ারই ধানতলায় আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠল।অভিযোগ, চড়ক পুজোর দিন নাবালিকার মুখে মদের গন্ধ পেয়ে চড় মারেন পিসি। তালা আটকে ঘরবন্দি করে রেখে দেন নাবালিকাকে। এর কিছুক্ষণ পর ওই ঘর থেকেই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নাবালিকার পরিবার প্রথমে তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করে। পরে ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন ও পকসো আইনেও মামলা রুজু হয়।


আরও পড়ুন: South 24 Paraganas: ভাঙড়ে কাকিমাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার এক