সুজিত মণ্ডল, নদিয়াঃ প্রায় এক মাস পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ। অতিষ্ট গ্রামবাসীরা। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। রয়েছে পানীয় জলের কল, অথচ নেই জলের পরিষেবা (Drinking Water)। প্রায় একমাস ধরে পানীয় জল না পেয়ে সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার রঘুনাথপুর হিজুলী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন। অভ্যাসে পরিণত হওয়া পরিস্রুত পানীয় জল না পেয়ে, স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে গ্রামবাসীদের। অনেকে সামর্থ্য অনুযায়ী কেনা পানীয় জল ব্যবহার করছেন। বাধ্য হয়ে অনেককে আবার টিউবওয়েলের জল পুনরায় পান করতে হচ্ছে। যদিও দ্রুত মেরামতির জন্য জল সরবরাহ দপ্তর অর্থাৎ পিএইচই-র আধিকারিকদের জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন,


সুখবর ! করোনা আবহ কাটিয়ে ফের সাড়ম্বরে শুরু হচ্ছে মহিষাদলের রথের মেলা


অভিযোগ, রঘুনাথপুর হিজুলী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর, জাফরনগর, কাটারি, কৃষ্ণপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ গত প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ। গত প্রায় ৩ মাস আগে ওই পঞ্চায়েতের অধীনস্থ পরিস্রুত পানীয় জলের সরবরাহের জন্য বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় জল সংযোগের লাইন। ২ মাস ঠিকঠাক পানীয় জলের পরিষেবা পাওয়া গেলেও, প্রায় এক মাস পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। অভ্যাসে পরিণত হওয়া পরিস্রুত পানীয় জল না পেয়ে, স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে গ্রামবাসীদের। অনেকে সামর্থ্য অনুযায়ী কেনা পানীয় জল ব্যবহার করছেন। বাধ্য হয়ে অনেককে আবার টিউবওয়েলের জল পুনরায় পান করতে হচ্ছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে পানীয় জলের পরিষেবা চালু করা হোক।


যদিও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে রঘুনাথপুর হিজুলি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জয়প্রকাশ লস্কর অবশ্য জানিয়েছেন, জল সরবরাহের একটি পাইপ একই জায়গায় বেশ কয়েকবার ফাটল ধরেছে। এর আগে দু-দুবার মেরামতিও হয়েছে। তবে নতুন করে একই সমস্যার কারণে জল সরবরাহ করা সম্ভবপর হচ্ছে না। যদিও দ্রুত মেরামতির জন্য জল সরবরাহ দপ্তর অর্থাৎ পিএইচই-র আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে। প্রসঙ্গত, এই জল সরবারহ নিয়েই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হাতিয়ার করে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল শাহ-মোদীরা। যদিও তা ধোপে না টিকলেও, তৃণমূলের তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর ফের একই জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের জলসঙ্কট, বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।