সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর: বোমা তৈরি করতে গিয়ে সেই বোমা ফেটে মৃত্যু (bomb explosion) হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার শান্তিপুর (Santipur) থানার টেংরিডাঙা গ্রামে। মৃত যুবকের নাম সামেরুল শেখ। বয়স ২০ বছর।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আজ সকালে বেশ কয়েকবার গ্রামের একটি ছেলে একাধিকবার ওই যুবককে ফোন করে। ফোন না ধরছিল না বলে তাকে বাড়িতে এসে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী ওই যুবক। এর কিছু সময় পরই বিকট একটা আওয়াজ শুনতে পান ওই গ্রামের বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে নদিয়ার জেলা হাসপাতাল শক্তিনগরে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত যুবকের মায়ের অভিযোগ, সামেরুল শেখ নামে ওই যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে বোমা বাঁধার কাজে নিয়ে যায় প্রতিবেশী এক যুবক। তারপর সেখানেই বোমা ফেটে মৃত্যু হয় সামেরুলের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে টেংরিডাঙা গ্রামে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। কী উদ্দেশ্যে বোমা বানানো হচ্ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোমা বানানোর কাজ পুলিশ ও প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে দীর্ঘদিন চলে আসছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধরপাকড় করলেও। কিছুদিন বাদে ফের একই অবস্থা দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত যে কোনও ধরনের নির্বাচনের সময় বোমা তৈরি ও সরবরাহের কাজ চলে রাতের অন্ধকারে। যার জেরে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পুলিশি নজরদারি চালানো হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তাতে ধরাও পড়ে অনেকে। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের ছত্রছায়াতেই এই ধরনের অসামাজিক কাজ করে কুখ্যাত অপরাধীরা। পুলিশ অনেক সময় সবকিছু জেনেও রাজনৈতিক চাপের কারণে ব্যবস্থা নিতে পারে না। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বোমা তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া যায়। নদিয়ার ঘটনা তারই একটা প্রমাণ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।