থানারপাড়া : ৪০ ঘণ্টা পর নদিয়ার (Nadia) তৃণমূল নেতা খুনে (TMC Leader Murder) গ্রেফতার একজন। গতকাল গভীর রাতে নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ইসরাফিল শেখ নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নওদা থানার পুলিশ। অভিযোগে থাকা ১০ জনের তালিকায় নাম নেই ধৃত ইসরাফিলের। তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামকে খুনের পিছনে একটি গ্যাং রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।


তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ?


মুর্শিদাবাদে নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সামনে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ! নিহতের পরিবারের তরফে নওদা থানায় যে ১০ জনের নামে FIR দায়ের করা হয়েছে, তার মধ্যে নাম রয়েছে নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান শেখের। যিনি আবার মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহেরের ভাগ্নে। এছাড়াও FIR-এ নাম রয়েছে নদিয়া জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য টিনা ভৌমিক সাহার। যাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। শুধু তাই নয়, বিধায়কের নিশানায় রয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।


তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেছেন, টিনা সাহা ভৌমিক এখানে মিটিং করে গেছেন, আমাদের কেউ জানে না। আমার অঞ্চল সভাপতি জানে না। দিল্লির হতে পারে আমাদের কেউ না, নদিয়ার কেউ না। হাবিব মাস্টার কেন এসে নওদায় থাকবেন ?


যদিও তৃণমূল নেত্রী ও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহা ভৌমিক বলেন, বিধায়ক যা বলছেন, তা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিধায়ক তাপস সাহা, তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর আপ্তসহায়ক বলেছেন ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। রাজনৈতিকভাবে পেরে না ওঠায় আমার উপর প্রতিহিংসামূলক এই আচরণ করছেন।


ঘটনায় খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যত পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসবে তত এরকম হবে। বোমা বন্দুক জড়ো হবে, নিজেদের মধ্যে মারামারি হবে। কারণ যেখানে বিরোধীদের জায়গা দেবেন না, সেখানে নিজেদের মধ্যে বিরোধী তৈরি হবে। পঞ্চায়েতে জিতলেন মানে লুঠ করার সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন, এই লোভ সম্বরণ করা সম্ভব নয়।


উল্লেখ্য, এই ঘটনায় প্রথমে CBI তদন্তের দাবি করেও, পরে CID তদন্তের দাবি করেন নদিয়ার নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী।


আরও পড়ুন ; ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অধরা নদিয়ার তৃণমূল নেতার খুনিরা