CBI in Hanskhali : "স্যার, বাঁচতে চাই", সিবিআইয়ের কাছে কাতর আবেদন গ্রামবাসীর; এখনও আতঙ্কে হাঁসখালি
CBI in Hanskhali : হাঁসখালিকাণ্ডে জোরদার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। আজ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢোকে সিএফএসএল
হাঁসখালি : তৃণমূল নেতা-পুত্র গ্রেফতারের পর আতঙ্কে হাঁসখালি (Hanskhali)। "বাঁচতে চাই", সিবিআইয়ের (CBI) কাছে কাতর আবেদন জানালেন গ্রামবাসী। সিবিআইয়ের ডিআইজির কাছে আবেদন জানানো হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দাকে বলতে শোনা যায়, "ওর ভয়ে ছেলেরা রাতে বাইরে বেরোতে পারে না। আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই, ছেলেদের ধরে ধরে মারে। আমরা বাঁচতে চাই, থানায় গেলে অভিযোগ নেয় না।" সিবিআইকে সামনে পেয়ে কাতর আবেদন গ্রামবাসীর।
হাঁসখালিকাণ্ডে তদন্তে সিবিআই-
হাঁসখালিকাণ্ডে জোরদার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। আজ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢোকে সিএফএসএল। এদিকে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই তদন্ত চলাকালীন হঠাৎ লোডশেডিং হয়ে যায়। অসুবিধেয় পড়েন তদন্তকারীরা। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গ্রাম। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যখন তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে, ঠিক তখনই লোডশেডিং হয়ে যায়। সমস্যার মধ্যে টর্চ জ্বেলে চলে কাজ।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে CBI হাঁসখালিকাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পরে, গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় FIR দায়ের করেছে তারা। FIR-এ নাম রয়েছে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতার ছেলে ধৃত ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালির।
বুধবার রাতেই হাঁসখালি থানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সিবিআইয়ের ৩ সদস্যের দল। CBI সূত্রের খবর, পুলিশের কাছ থেকে কেস ডায়েরি-সহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা হাঁসখালি থানায় ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
আজ বিকেলে সিবিআইয়ের অফিসাররা CFSL-এর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পৌঁছন মৃতার বাড়িতে। ৪ এপ্রিল রাতে নিজের বাড়িতে যে ঘরে নাবালিকাকে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরে ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা। সেখান থেকেই সিবিআই ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল চলে আসেন অভিযুক্তর বাড়িতে। যেখানে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।
ঠিক ওই একই সময়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অপর দলটি নাবালিকার ঘরে নমুনা সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যান। বিকেলে এসে প্রথমে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা। পরে বাবাকে ডেকে পাঠায়। এর পরে আশপাশের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়।
নির্যাতিতাকে কোন জায়গায় একাংশ গ্রামবাসী রেখে গিয়েছিল, সেই সময় তার মা কোথায় ছিল-সমস্ত ঘটনা বোঝার চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি রাস্তার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। ছবি তোলেন। সেই সময়ই বিদ্যুই বিভ্রাট দেখা দেয়। এমনকী মোবাইল পরিষেবাও ব্যাহত হয়ে যায় বলে জানা গেছে। নেটওয়ার্ক মেলেনি।