সৌমেন চক্রবর্তী, খড়্গপুর: চলন্ত ট্রেনে আচমকা প্রসব যন্ত্রণা (Baby Delivery)। কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা। খবর পেয়ে উদ্ধার করা হল মহিলাকে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তিনি (Medinipur Medical College and Hospital)। ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সুস্থ রয়েছে নবজাতকও। এই নিয়ে চলতি মাসেই চলন্ত ট্রেনে পর পর তিনটি প্রসবের ঘটনা ঘটল।
চলন্ত ট্রেনে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
রবিবার দুপুরে গোমো-খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার (Kharagpur News) ট্রেনে এই ঘটনা ঘটেছে। গোমো থেকে খড়্গপুর আসছিলেন এক দম্পতি। সেই সময় মাঝপথে, চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই প্রসব যন্ত্রণা ওঠে প্রসূতির। আদ্রা ডিভিশনের চন্দ্রকোনা স্টেশন পেরনোর র চলন্ত ট্রেনেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তাতে উত্তেজনা ছড়ায় চলন্ত ট্রেনের কামরা।
এর পর চন্দ্রকোনা রোড আউটপোস্ট থেকে মেদিনীপুর স্টেশনে কর্মরত এক রেল পুলিশের কাছে খবর পৌঁছয়। তৎক্ষণাৎ তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। মেদিনীপুর স্টেশনে রেলের মেডিক্যাল এমার্জেন্সি টিম তৈরি রাখা হয়। ট্রেন মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছনো মাত্র তড়িঘড়ি প্রসূতিকে উদ্ধার করা হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি ইটভাটায় কাজ করতেন। আদতে বাড়ি বিহার এলাকায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেদিনীপুর পৌরসভার প্রধান সৌমেন খাঁ। মেদিনীপুর পৌরসভা, রেলের মাঈ-সহেলি টিমের সদস্যরা মিলে প্রসূতিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
চলতি মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার প্রসবের ঘটনা
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। সুস্থ রয়েছে নবজাতক শিশুও। তবে চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসবের এই ঘটনা নতুন নয়। চলতি মাসেই পর পর তিনটি এমন ঘটনা সামনে এল। তবে রেল পুলিশের তৎপরতায় ওই প্রসূতিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
চলন্ত ট্রেন থেকে সহযাত্রীকে ধাক্কা
এর আগে, শনিবার চলন্ত ট্রেনে যাত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা সামনে আস। মূক ও বধির এক ব্যক্তি সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে হাড়হিম করা ভিডিও। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত যুবক। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।