কৃষ্ণনগর: ঠাসা ময়দান। নেই তিলধারণের জায়গা। চৈতন্যভূমি নদিয়াতে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ভাষণ শুরু করলেন হরে কৃষ্ণ নাম নিয়ে। মোদি বলেন, 'এই মাটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের (Shree Krishna) মহান প্রচারক চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান'।  এরপরই ক্ষমা চেয়ে নিলেন সেখানকার মানুষের কাছ থেকে। বললেন, জানি ময়দান এই ভিড়ের তুলনায় অনেকটাই ছোট, কিন্তু আপনারা জোর করে এগনোর চেষ্টা করবেন না, কারণ সামনে আর জায়গা নেই। জনতাকে শান্ত হলে বলে ফের একবার স্লোগান তুললেন, 'এইবার এনডিএ সরকার, ৪০০ পার'।

  



এরপর লাগাতার তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেলেন তিনি। বললেন, 'গত ২ দিনে বাংলার উন্নয়নে ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। এইসব প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের পরিকাঠামোকে মজবুত করবে। কিন্তু যে ভাবে তৃণমূলের সরকার চলছে, তাতে বাংলা হতাশ। বাংলার মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে বারবার জনাদেশ দিয়েছে। কিন্তু টিএমসি বাংলার মানুষের সঙ্গে অত্যাচার ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতকতা ও পরিবারতন্ত্র। মোদি পশ্চিমবঙ্গকে প্রথম এইমস দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়েছিল। আর মোদির গ্যারান্টির অর্থ, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি' । 


লোকসভা ভোটের আগে প্রচারে এসে একের পর এক বাক্যবাণে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেন মোদি। তিনি বলেন, 'বিজেপি সরকার ৫ লক্ষ টাকার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার গরিবের জন্য সেই প্রকল্প রাজ্যে চালু হতে দিচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে আগে ১৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে সংখ্যাটি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২৬ হয়েছে। পাটশিল্পকেও তৃণমূল সরকার রাজ্যে শেষ করে দিয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক করছে। পাটচাষিদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বিজেপি সরকার। তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে বাংলার মায়েদের ভোট নিয়েছে। কিন্তু আজ মা-মাটি-মানুষ কাঁদছে।'


এর পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ নিয়েও সরব হন তিনি। বকেয়া টাকা-জব কার্ড নিয়ে মমতা-অভিষেকের অভিযোগের পাল্টা তোপ দাগেন মোদি। তাঁর কথায়, '১০০ দিনের কাজে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করা হয়েছে। যে অর্থ গরিব মানুষের কাছে যাওয়ার দরকার ছিল, সেই টাকা তৃণমূলের তোলাবাজরা লুঠ করেছে। তৃণমূল সরকার সব স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে'।  


আরও পড়ুন, কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ মোদির, বললেন TMC মানে তুম, ম্যায় অউর কোরাপশন