কলকাতা: আধুনিক জীবনযাপনে খাওয়াদাওয়া পাল্টে যাচ্ছে। অনেক বেশি ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, তেলেভাজার উপর নির্ভরতা বাড়ছে। আর এসবের থেকেই দেখা দিচ্ছে ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver)। সময় থাকতে থাকতেই ফ্যাটি লিভার থেকে নিজেকে মুক্ত করা জরুরি। নয়তো বেশ কিছু রোগ দেখা দিতে পারে। ফ্যাটি লিভার হয়েছে কি না বলে দেবে কিছু লক্ষণ।


ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ (Fatty Liver Symptoms)



  • বুকের নিচ থেকে পেট ফুলে যাওয়া।

  • ক্লান্ত লাগে, একটানা বেশিক্ষণ কাজ করতে ইচ্ছে করে না।

  • মলের রং কালো বা কালচে হওয়া।

  • ত্বকে চুলকানি হতে থাকা।

  • প্রস্রাবের রং গাঢ় রঙের হওয়া।

  • চোখ হলুদ বা হলদেটে হয়ে যায়।

  • ত্বকের রং হলুদ বা হলদেটে হয়ে যায়।


ফ্যাটি লিভার থেকে কোন কোন রোগের ঝুঁকি (Fatty Liver Risk)


ফ্যাটি লিভার থেকে বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই তালিকায় রয়েছে জন্ডিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ফাইব্রোসিস, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি।


লিভার ফাইব্রোসিস - এক্সট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্স প্রোটিন বলে একটি বিশেষ প্রোটিন হয়। তার সঙ্গে কোলাজেন মিশে লিভারকে শক্ত করে দেয় খানিক। যাকে ফাইব্রোসিস  বলা হয়। ফ্যাটি লিভার এর অন্যতম কারণ।


লিভার সিরোসিস -  এই রোগে লিভার একেবারেই শক্ত হয়ে যায়। যার ফলে এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফ্যাটি লিভারের চূড়ান্ত ফলাফল এটি।


হেপাটাইটিস সি - এই রোগে লিভারে প্রদাহ হতে থাকে। লিভারের গায়ে দাগ দেখা যায়। যা পরে ফাইব্রোসিস ও সিরোসিসের দিকে মোড় নেয়। তবে ফ্যাটি লিভার থেকে এই রোগটি হয় না। বরং দেখা গিয়েছে, যাদের হেপাটাইটিস সি রয়েছে, তাদের অনেকের লিভার ফ্যাটি।


হেপাটাইটিস এ,বি -  এই রোগগুলি মূলত লিভারের সংক্রমণ। দেখা গিয়েছে, যাদের ফ্যাটি লিভার রয়েছে, তাদের অনেকেরই এই দুই সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।


লিভার সুস্থ রাখতে বদল চাই ডায়েটে (Fatty Liver Diet)


ডায়েটে কিছু বদল এনে লিভারকে সারিয়ে তোলা যায়।



  • ফ্যাটজাতীয় খাবার পাত থেকে বাদ দিতে হবে। এর মধ্যে পড়ছে তেলেভাজা, ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড ইত্যাদি।

  • মদ্যপানের নেশা অনেকেরই থাকে। অতি অল্প পরিমাণে খেলেও যেকোনও মদ শরীরের জন্য খারাপ। তাই মদ্যপান ত্যাগ করাই ভাল।

  • ফাইবারজাতীয় খাবার এই সময় শরীরের জন্য উপকারী। তাই রোজকার রুটিনে শাকসবজি ও ফল বেশি করে রাখুন।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Health Tips: কথায় কথায় গ্যাসের ওষুধ ? কী হচ্ছে শরীরে ?