কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) পর এক বছর কাটতে চলল। এখনও আদালতে ঝুলছে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence Cases) অভিযোগ মামলা। তার মধ্যেই কলকাতা পুরভোটে (KMC Elections 2021) হিংসার অভিযোগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং শহরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার (CP Kolkata) সৌমেন মিত্রর (Soumen Mitra) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission/NHRC)।


যুব কংগ্রেসের (Indian Youth Congress) দায়ের করার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এএনআই জানিয়েছে, মমতা এবং প্রাক্তন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি শনিবারই যুব কংগ্রেসের দুই অভিযোগকারীকে জানিয়েছে কমিশন। গোটা ঘটনায় মমতা এবং প্রাক্তন কমিশনারের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের তরফে।


গত ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ চলাকালীন তাদের কর্মীদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ যুব কংগ্রেসের। পুলিশের সামনেই দলের কর্মীদের মারধর করা হলেও কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি তাদের। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘটানো এই হিংসায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীকে প্রকাশ্য়ে বিবস্ত্র করে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ তোলে যুব কংগ্রেস।


আরও পড়ুন: Arjun Singh on TMC: দলে কদর নেই কল্যাণের, শীঘ্রই বার করে দেওয়া হতে পারে, দাবি অর্জুনের


সেই মতো গত ২৪ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অমরীশ পাণ্ডে, দলের আইনি বিভাগের জাতীয় সহ আহ্বায়ক অম্বুজ দীক্ষিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কলকাতা পুরভোটে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা তো নেয়ইনি, উল্টে অনেক ক্ষেত্রে তারা দুষ্কৃতীদের সহযোগিতা করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মমতা এবং প্রাক্তন কমিশনারের বিরুদ্ধে শনিবার মানবাধিকার কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে খবর।


কলকাতা পুরভোটে বিপুল সমর্থনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে শহরে। ভোটলুঠ, ছাপ্পাভোট, বিরোধী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ আনা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও (State Election Commission) আলাদা করে চিঠি দেয় বাংলার বিজেপি (BJP)। বুথে বসানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আর্জি জানায়। তৃণমূল যদিও হিংসার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু এ বার খোদ দলনেত্রীর বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করল মানবাধিকার কমিশন।