সমীরণ পাল, সোমনাথ দত্ত ও হিন্দোল দে, উত্তর ২৪ পরগনা: ভোটের আগে অস্বস্তিতে বিজেপি। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে, পদ ছাড়লেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বিজেপির যুব ও মহিলা মোর্চার ৪ নেতা নেত্রী। গুরুত্ব দিতে নারাজ শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর আর কেউ বিজেপি করবে না, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


বিজেপিতে পদত্য়াগ-তরজা


পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে পদত্য়াগ করলেন, উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপির যুব ও মহিলা মোর্চার ৪ নেতা-নেত্রী। পদ ছেড়ে তাঁরা নিশানা করলেন, বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও অশোকনগর মণ্ডলের সভাপতিকে।

কল্যাণগড় মণ্ডলের সদ্য় পদত্য়াগী বিজেপি নেতা শুভম রায়ের দাবি, 'তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলছে। কোনও কাজ করে না। এটা সত্য়িকারের ফাইট করার সময়। স্থানীয় স্তরের কোনও কর্মসূচি নেই।'


ফেসবুকে পদত্য়াগ পত্র পোস্ট করেছেন, অশোকনগরের কল্য়াণগড় মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি, শুভম রায়, যুব মোর্চার নেতা পলাশ মণ্ডল। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, শম্পা ঘোষ ও মহিলা মোর্চার সদস্য, ডলি দে। সম্প্রতি, বিজেপির অশোকনগর মণ্ডলের সভাপতি শ্য়ামলেন্দু দের মাতৃবিয়োগ হয়। সেই সময় সমবেদনা জানাতে বিজেপি নেতার বাড়িতে যান, অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এই ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহের মাথায়, তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে দলের নেতার গোপন যোগাযোগ রয়েছে এই অভিযোগ তুলে দলীয় পদ ছাড়লেন গেরুয়া শিবিরের ৪ নেতা-নেত্রী।

শুভম রায়ের আরও অভিযোগ, 'সংগঠনের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আবাস যোজনার কাজে কিছু করতে দিচ্ছে না। যাঁরা কাজের তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়। সব সময় হুঁশিুয়ারি দেওয়া হয় দল থেকে সরিয়ে দেবে।'

শুধু অশোকনগরের মণ্ডল সভাপতিই নন, বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পদত্য়াগীরা। 

অন্যদিকে বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তাপস মিত্রের প্রতিক্রিয়া, 'ইস্তফা দিয়ে দিক। কিছু যায় আসে না।'


আরও পড়ুন: Sushanta Ghosh: গলায় গামছা দিয়ে আবাস যোজনার টাকা আদায়ের হুঁশিয়ারি সুশান্ত ঘোষের


পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিতে পদত্য়াগ। অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। আক্রমণ তৃণমূলের।

ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, 'কিছুদিন বাদে বাংলার আর কেউ বিজেপি করবেন না এই জিনিসটা জেনে রাখুন। কারণ এই দলটার না নীতি আছে, না আদর্শ আছে। এই দলটা শুধু সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে চলে।' রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বিজেপির ৪ নেতা নেত্রীর ইস্তফা, সংগঠনে কোনও প্রভাব ফেলবে না তো?