সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এবার নকল শংসাপত্র রুখতে ত্রিস্তরীয় যাচাই পদ্ধতির চালু করল বনগাঁ পৌরসভা। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পুরসভা শংসাপত্র দেওয়ার ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।


কোনও ব্যক্তিকে যদি স্থানীয় পুরপিতা শংসাপত্র দেন, পরবর্তীকালে তা পুরসভার কর্মীরা সমস্ত অতি ভালো করে যাচাই করে দেখবেন। তারপর সেটা পুরো প্রধান বা পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক পরীক্ষা করে চূড়ান্ত শংসাপত্র দেবেন। শুধু তাই নয় পুরসভার রেকর্ডে প্রতিটি শংসাপত্রের হিসাব থাকছে। পুরসভার এই শংসাপত্র নকল না হয়, তার জন্য নজরদারি চালাচ্ছে বনগাঁ পুরসভা। পুরপ্রধান গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, পুরসভা এলাকায় সমস্ত সাইবার ক্যাফেতে এই ধরণের নজরদারি চালানো হচ্ছে।  


গত বছরের শেষে পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছিল পুলিশের হাতে। পুলিশের দাবি, জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে স্কুল সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড, ভোটার কার্ড সবই জাল। সেই জাল নথি দিয়েই ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশের নাগরিকরা। পুলিশের দাবি, সবথেকে বেশি ভুয়ো জন্মের শংসাপত্র তৈরি করা হয়েছিল দত্তপুকুরের কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, এমন কোনও নথি ইস্যু করা হয়নি। পুলিশের দাবি, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের স্কুল সার্টিফিকেট। ব্য়বহার করা হয়েছিল অ্যাডমিট কার্ড এবং ভোটার কার্ড। বারাসাত পুুরসভা, বনগাঁ এবং কল্যাণীর ঠিকানাতেও বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল। সেই নথিগুলিও জাল বলে জানতে পেরেছিল পুলিশ।


আরও পড়ুন, 'সেই রাতে যে ৪ ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া, তাদের কেন হেফাজতে নিয়ে জেরা নয়?..'


প্রসঙ্গত জাল শুধু সার্টিফিকেট নয়, জাল পাসপোর্ট নিয়েও জেরবার প্রশাসন।  পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে রাজ্যের পুলিশের প্রাক্তন SI. জাল পাসপোর্ট নিয়ে আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে, ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশি গাফিলতির একাধিক উদাহরণ। এই পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় পুলিশি ভূমিকায় বদল আনছে কলকাতা পুলিশ। অপরদিকে,  বাংলায় পরপর জালে জঙ্গি, BSF-কে নিশানা মমতা, অভিষেকের। 'এখানে গুন্ডা পাঠাচ্ছে, বর্ডার দিয়ে খুন করছে চলে যাচ্ছে। এটা BSF-র ভিতরের কাজ, কেন্দ্রের ব্লুপ্রিন্ট আছে', অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে বাংলাকে বদনামের চেষ্টা, আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। 'সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছে BSF। বাংলার পুলিশ সহযোগিতা না করলে কোনও জঙ্গি ধরা পড়ত না। বাংলাকে অশান্ত করতে জঙ্গি ঢুকিয়েছিল BSF', অনুপ্রবেশ নিয়ে BSF-কে নিশানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।