উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যারাকপুরে শ্যুটআউট, ২৫ ঘণ্টা পার, এখনও আততায়ী অধরা। অন্ধকারে টিটাগড় থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু কংগ্রেসের। ব্যারাকপুরে শ্যুটআউটকাণ্ডে শাসকদলকে নিশানা করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'তৃণমূলের লুটেরারদের রসদের সঙ্কট হচ্ছে।'
অধীর চৌধুরী বলেন, 'শিল্পাঞ্চলে যদি কেউ এরকম নির্ভয়ে গুলি চালাতে পারে, নিশ্চিন্তে কেউ গুলি চালিয়ে হত্যা করতে পারে, তাহলে আমার , আপনার নিরাপত্তা কোথায় ? আমি কালকে সেই নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। কংগ্রেস প্রতিবাদ সভা করছে, ডেপুটেশনেও যাচ্ছে। বারবার শিল্পাঞ্চল রক্তাক্ত হয়েছে, আবার তৃণমূলের লুটেরারদের রসদের সঙ্কট হচ্ছে। সেই রসদের সঙ্কট মেটাতে তাঁরা মরিয়া।'
মূলত ব্যারাকপুরে শ্যুটআউটকাণ্ডের একদিন পরেও দুষ্কৃতীদের কোনও হদিশ পেল না পুলিশ। ডাকাতিতে বাধা, ব্যারাকপুরে সোনার দোকানের মালিকের ছেলে খুন। হেলমেট, মাস্ক পরে পিস্তল হাতে দেড় মিনিটের অপারেশন। ভিড়ে ঠাসা এলাকায় দেড় মিনিটের অপারেশন সেরে ৪ আততায়ী ফেরার। যদিও এদিন নিহত নীলাদ্রি সিংহর বাড়িতে যান সাংসদ অর্জুন সিং, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Arjun Singh and Kaustav Bagchi)। ব্যারাকপুরে শ্যুটআউটকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন অর্জুন সিং।
এদিন অর্জুন সিং বলেন, 'ওনার বাড়িতে এসেছি। ওনার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ওনার বক্তব্যের মধ্যে... কিছু গন্ডোগোল ছিল, বাড়িওয়ালা থেকে। সেটাও উনি একটা কমপ্লেন বলেছেন আমাদের কাছে। আর ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতি করতে এসে সরাসরি গুলি মেরে দেওয়া হয়েছে। উনি বলছিলেন, আমি বলছি সব নিয়ে যাও, তা সত্বেও গুলি মেরেছে।একটা ঘটনা ঘটলে নানারকম সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়। সবটাই পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।আমরাও পুলিশের উপর চাপ বাড়াচ্ছি।'
তিনি আরও বলেন,' আমি এবং চেয়ারম্যান দুজনেই সিপির কাছে যাচ্ছি।' কী বলবেন ? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'সব অ্যাঙ্গেলের উপর নজর দিয়ে ইমিডিয়েট অ্যারেস্ট করা হোক। এর বাইরে আর কী বলার আছে ?' বারবার টিটাগড়ে একই ঘটনা ঘটছে, এনিয়ে কী বলবেন ? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এর প্রতিক্রিয়া দিয়ে অর্জুন সিং বলেন, টিটাগড়ে ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে দুটো ঘটনা একমাসের মধ্যে হল। এটা খুব খারাপ। আমাদের জন্য বলতে গেলে এটা কলঙ্কের ব্যাপার।'
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
অপরদিকে, এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। শনিবার ব্যারাকপুর ও পলতায় ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী, অভিজাত এলাকা রীতিমতো জনবহুল। বাজার রয়েছে। সামনেই ব্য়াঙ্ক। রাতদিন হাজারো লোকের আনাগোনা। তার মধ্যেই গতকাল ভরসন্ধেয় ক্রেতা সেজে, হেলমেট, টুপি, মাস্কে মুখ ঢেকে সিংহ জুয়েলারি হাউসে হানা দেয় ডাকাতরা। লুঠপাটে বাধা দেওয়ায় গুলি করে খুন করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে। গুলিবিদ্ধ হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও তাঁর এক কর্মচারী। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।