সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন বিএসএফ (BSF) জওয়ানরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তাঁদের দায়িত্বের এলাকা থেকে বিভিন্ন ঘটনায় ৪৬৪ বোতল ফেনসিডিল পাকড়াও করেছে। মূলত যা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিল বোতলের আনুমানিক মূল্য ১,০৫,৭৮৯ টাকা।
জানা গিয়েছে, ৫ জুলাই সীমা চৌকি গেদে, অ্যাডহক এসবি-ভি ব্যাটালিয়নের কর্মীরা আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে কিছু চোরাকারবারীর সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন। চোরাচালানের চেষ্টা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে জওয়ানরা চোরাকারবারিদের দিকে এগোতে শুরু করলে অন্ধকার ও ঝোপের সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এলাকায় নিবিঢ় তল্লাশি চালিয়ে জওয়ানরা ঘটনাস্থল থেকে ১৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
একই দিনের অন্যান্য ঘটনায় সীমা চৌকি সাসানি ও লোধিয়া, ৭০ ব্যাটালিয়ন ও সীমা চৌকি দোবারপাড়া, ০৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ৩২৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে। উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জওয়ানদের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করে, বিএসএফ, দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র বলেছেন যে, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী সর্বদা সতর্কতা বজায় রাখে এবং সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিভিন্ন অপারেশনাল ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তিনি আরও বলেন, চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য তার একটি চমৎকার দল রয়েছে, যারা সীমান্ত এলাকায় ঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর কড়া নজর রাখে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার পাচারকারীদের প্ল্যান চৌপাট করে দিতে সক্ষম হয়েছিল বিএসএফ। তবে সাফল্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক ময়দানে একাধিকবার প্রশ্নের মুখেও পড়েছে বিএসএফ। 'বিএসএফ-র গুলিতে মৃত্যু দিনহাটার যুবকের' , এই ঘটনাও রীতিমত বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। এমনকি সদ্য কোচবিহার থেকে নির্বাচনী প্রচারের প্রথমদিনেই নিশানা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
উল্লেখ্য, একুশের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দিন ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছিল সেবার পাঠানটুলির বাসিন্দা আনন্দ বর্মনের। নাম না করলেই সম্প্রতি মমতা বলেছিলেন, 'বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত স্বজনহারাদের পরিবারের পাশে থাকবে তৃণমূল। খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ। বিএসএফ ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। বিএসএফ ভয় দেখালে আমাদের এসে জানান। কোচবিহারে বিএসএফ-এর গুলি করে মারা যেন অধিকারের মধ্যে পড়ে গেছে।'