সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে গুলি-বোমাবাজিতে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা। গুলিতে জখম তৃণমূল কর্মী (TMC Worler Injured) তৈয়ব আলি মণ্ডল। শ্যুটআউটের পর আক্রান্তর বাড়ির অদূরে বোমাবাজি হয়েছে বলে খবর। তাতে ৩ জন গ্রামবাসী জখম হন। আহতদের বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম তৃণমূলকর্মীকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গতকাল বাইকে বাড়ি ফেরার পথে গুলি চলে তৈয়ব আলি মণ্ডলের উপর। আমডাঙার মথুরায় গুলি চলার ঘটনা ঘটে। কী কারণে গুলি, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


নতুন নয়... 
পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই প্রশাসনের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে এই ধরনের ঘটনা। গত মাসের শেষ দিকেই মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বিপুল পরিমাণ সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছিল। নজরানা গ্রামের একটা ফাঁকা মাঠে বোমাগুলি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। স্থানীয় সূত্র মারফত খবর পেয়ে, আজ রানিনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে বম্ব স্কোয়াড বাহিনী সেখানে যায় ও বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। কে বা কারা কেনই বা বোমাগুলি সেখানে রেখেছিল ? তার তদন্ত শুরু করেছে রানিনগর থানার পুলিশ। সম্প্রতি কালীগঞ্জের মোলান্দিতে ৬২টি সকেট বোমা নিষ্ক্রিয় করেছিল সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড। জানা গিয়েছিল, কালীগঞ্জের মোলান্দি গ্রামে সিপিআইএম নেতা হকসাদ মণ্ডলের বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হয় ওই বোমা গুলি। তবে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর আগেই বাঁচিয়ে দিল বম্ব স্কোয়াড। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কালীগঞ্জ থানার পুলিস ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চারটি ড্রামে রাখা ৬২টি সকেট বোমা উদ্ধার করেছিল। সিআইডি বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করেছিল। উল্লেখ্য, গত মাসেই ওই এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার ওসি-সহ পাঁচ জন আহত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত মাসের শুরুতেই কালীগঞ্জে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা মারার ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেই এলাকায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তার আগে, উত্তর ২৪ পরগনারই জগদ্দলে পালঘাট রোডে গুলি চলে। ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অশোক সাউয়ের পিঠ ছুঁয়ে সেই গুলি বেরিয়ে যায়। অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি ও পরপর ২টি বোমা ছোড়া হয়। হামলাকারীরা মাস্ক পরে এসেছিল বলে স্থানীয়রা জানান। সেই অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে থানায় আশ্রয় নেন শাসক-নেতা। তৃণমূল নেতার দাবি, জেলে বসে তাঁকে খুনের ছক কষা হচ্ছিল, এই খবর তাঁর কাছে ছিল। এই সূত্রে আরমান নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর নাম উঠে আসে। তাকে আটক করে পুলিশ। হামলার কারণ সম্পর্কে  অন্ধকারে পুলিশ ও তৃণমূল নেতার পরিবার। খবর পেয়ে থানায় যান জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।  


আরও পড়ুন:হেঁটে-দৌড়ে ঝরাতে চান অতিরিক্ত মেদ? তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলো