আব্দুল ওয়াহাব, বসিরহাট: বসিরহাটের ভেবিয়ার দে বাড়ির পুজো এবার পা দিল ১১৫ বছরে। করোনা বিধি মেনে চললেও, ভাটা পড়েনি পুজোর রীতিতে। ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন পরিবারের সদস্যরা।


বোধনতলায় পুজো। কলাবউ স্নান দিয়ে উমার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। রীতি মেনে সপ্তমীর পুজো হল উত্তর ২৪ পরগনার ভেবিয়ার দে বাড়িতে।


করোনা আবহে কীভাবে পুজো হবে, তা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলেন সবাই। তার পরেও এই ক’টা দিনের টানে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চলে এসেছেন দে বাড়ির সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা।


আরও পড়ুন: আজ মহাষ্টমী, দিকে দিকে চলছে দেবী-বন্দনা, অঞ্জলী


বাড়ির সদস্য নবজিৎ দে বলেন, এই পুজোর সময় যে যেখানে থাকি, এখানে চলে আসি। বম্বেতে কাজ করি, চলে এসেছি। এখানকার পুজো ছাড়া ভাবতে পারি না। আরেক সদস্য তিস্তা দে বলেন, করোনা আবহে প্রস্তুতি নিয়ে পুজো করছি। মাস্ক পরে পুজো করছি। 


দে বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন দীননাথ দে৷ এবার ১১৫ বছরে পা দিল পুজো। বর্তমানে পুজোর আয়োজক পঞ্চম প্রজন্ম। এই পুজোয় অংশ নিয়েছে আগামী প্রজন্মের খুদেরাও।


দে পরিবারের পুজোয় সামিল হয় গোটা গ্রাম৷ তবে করোনা আবহে গ্রামবাসীদের আনাগোনা একটু কম। 


আজ মহাষ্টমী। মণ্ডপে মণ্ডপে মাইকে চলছে স্তোত্রপাঠ৷ সাড়ম্বরে হচ্ছে দেবী বন্দনা। দিকে দিকে নেওয়া হচ্ছে পুষ্পাঞ্জলীর প্রস্তুতি।


আজই বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে কুমারী পুজোও হচ্ছে৷ দিকে দিকে দীপের আলোয় উমা বরণ চলছে।  আর দু’দিন বাকি পুজোর। উত্‍‍সবের সুরে ভাসতে প্রস্তুত তিলোত্তমা৷


আরও পড়ুন: অষ্টমী তিথিতে কুমারী ও সন্ধিপুজোর গুরুত্ব কেন বেশি?


মহাষ্টমী ও মহানবমীর মিলন মুহূর্তে সন্ধিপুজো৷ রীতি মেনে বাড়ি ও বারোয়ারি পুজোয় সন্ধিপুজো হয়। এই পুজোয় দেবীকে দেখানো হয় চামুণ্ডা রূপে। 


প্রতিমার উদ্দেশে অর্পণ করা হয় ১০৮টি পদ্ম ও ১০৮টি দীপ৷ কলকাতা থেকে কোচবিহার, মালদা থেকে মেদিনীপুর-সর্বত্রই সন্ধিপুজোর আচারে রীতি ও ঐতিহ্য অটুট৷