আবির দত্ত, কলকাতা: 'সন্দেশখালির মহিলাদের (Sandeshkhali Atrocities Against Woman) ভয় দেখিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারে বাধ্য করা হচ্ছে, এমন খবর পাচ্ছি। তৃণমূলের লোকেরাই সন্দেশখালিতে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে। বিষয়টিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নজর দিন', জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে আর্জি জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার (NCW Chairperson Rekha Sharma Letter To Chief Election Commissioner )। এদিন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, 'সন্দেশখালিকাণ্ড বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত।' ভাইরাল ভিডিওতে এক মহিলা সাদা কাগজে সই করিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করারও দাবি শোনা যায় তাঁর মুখে যা নিয়ে একপ্রস্ত রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের এই আর্জি।
কী বললেন রেখা?
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের উদ্দেশে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, 'সংবাদমাধ্যমে সন্দেশখালিতে মহিলাদের যৌন হেনস্থার খবর দেখে মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল। তদন্তের সময় কমিশনের সদস্যরা ওখানকার মহিলাদের কাছ থেকে একই অভিযোগ শোনেন।' মহিলা কমিশনের মতে, লোকসভা ভোট চলাকালীন সন্দেশখালিতে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে অভিযোগ প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কোনও ভাবে যাতে নির্বাচনে ওখানকার মানুষ যোগ দিতে না পারেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন মহিলা কমিশনের সদস্যরা। নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে সেই কথাই অন্তত তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিক, চাইছে মহিলা কমিশন।
শশী পাঁজার পদক্ষেপ...
একদিকে যখন রেখা শর্মার পাঠানো এই চিঠি নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়েছে, তখন সন্দেশখালিকাণ্ডে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধেই নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার অভিযোগ, 'সন্দেশখালি গিয়ে স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ করতে বলেছিলেন রেখা শর্মা।' এসবের মধ্যে আবার ভাইরাল হয়েছে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রার পুরনো একটি ভিডিও। শুক্রবার তা নিয়েও আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'আমরা গোধরা দাঙ্গার কথা শুনেছিলাম। আমরা পুলওয়ামায় কীভাবে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিজেপি পুলওয়ামা করিয়েছিল আমরা শুনেছিলাম। আর একথা আমি বলছি না। একথা সত্য়পাল মালিক বলছে, যাকে বিজেপি রাজ্য়পাল নিয়োগ করে জম্মু-কাশ্মীরে পাঠিয়েছিল। ৪০ জন শহিদকে, তাঁদের জীবনের বলিদান দিয়ে নরেন্দ্র মোদি ভারতবর্ষে এঁদের নামে ভোট চেয়েছিল। দশটা, পনেরোটা, কুড়িটা ভোটের জন্য় যারা ১০ কোটি বাংলার আপামর জনসাধারণকে সারা দেশের কাছে ছোট করতে পারে, দেশের কাছে কলঙ্কিত করতে পারে।' সব মিলিয়ে আরও একবার শিরোনামে সন্দেশখালি
আরও পড়ুন:কাঠগড়ায় 'জোট'! বিডিওর কাছে নালিশ রানিনগরে 'আক্রান্ত' TMC কর্মীদের