সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: অস্ত্র পাচারের অভিযোগে এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করল গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ।  ওই গৃহবধূর নাম পূর্ণিমা দেবনাথ, বয়স ৩০। বাড়ি গোবরডাঙ্গা রাজিব পল্লী এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পূর্ণিমাদেবীর বাড়ি হানা দেয় পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং একটি ওয়ান শটার ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। 


পরবর্তীতে পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে স্বরূপনগরের এক দুষ্কৃতী তাঁকেই আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি রাখতে দিয়েছিল। এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কোথায় পাচার হত, কে বা কারা তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি রাখতে দিত, তা খতিয়ে দেখছে গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ। 


আরও পড়ুন, পুরুলিয়ায় শরীরে সূচ ঢুকিয়ে শিশু খুনের মামলায় মা ও মায়ের প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত


এদিকে, খড়দার পাতুলিয়ায় আবাসনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু। ঘরের মধ্যে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু তিনজনের। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গৃহকর্তা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্ত্রী, মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বড় ছেলে। পরিবারে একমাত্র বেঁচে ৪ বছরের ছোট ছেলে। খড়দার পাতুলিয়ার একটি আবাসনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা-মা ও তাঁদের দশ বছরের সন্তানের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় পরিবারে একমাত্র ৪ বছরের ছোট ছেলে বেঁচে রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ঘরে জল জমে ছিল। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহকর্তা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্ত্রীও। বাবা-মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দশ বছরের বড় ছেলেও। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের বলরাম সেবামন্দির স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 


আরও পড়ুন, এবিপি আনন্দ'র খবরের জের, ১২ বছর পর পেনশন পাচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু


অন্যদিক্রে, টিটাগড়ে আবার দিদিকে টিউশনে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে, বছর চোদ্দর কিশোরের।  জলে ডোবা রাস্তায়, বিদ্যুতের তার পড়ে আছে, তা ঠাউর করতে পারেনি মৃত কিশোর। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের দায়ী করছেন স্থানীয়রা।