সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : কেন্দ্রের তালিকায় ডিস্ট্রিক্ট অফ কনসার্ন (District Of Concern)। টানা ২ দিন ৩ হাজারের ওপরে দৈনিক সংক্রমণ । মোট আক্রান্ত ও দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় । কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার ( North 24 Pargana) করোনা পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। এই অবস্থায় জেলা সদর বারাসাতে (Barasat), ফের সেফ হোম খোলার প্রস্তুতি শুরু করল পুরসভা।
পুর প্রশাসন সূত্রে খবর, বারাসাতের তিতুমির বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বহুতলে চালু হবে সেফ হোম। ঠিক হয়েছে, বহুতলের তিন ও চারতলায় ৫০ বেডের সেফ হোম খোলা হবে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন, ওষুধ-সহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকবে সেখানে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে বারাসাত স্টেডিয়ামের কাছে উদ্যান পালন দফতরের অফিসে খোলা হয় সেফ হোম। কিন্তু সংক্রমণ কমার পরে, সেফ হোমটি বন্ধ হয়ে যায়।
এখন সেই ভবনে উদ্যান পালন দফতরের অফিস চালু হওয়ায়, নতুন জায়গায় সেফ হোম খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বারাসাত পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন :
বেড-শঙ্কা! সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে উপচে পড়ছে ভিড়
বারাসাত পুরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় জানান, সংক্রমণের মোকাবিলায় আগামী মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার, বারাসাত পুরসভা এলাকার সমস্ত দোকান-বাজার ও শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২৪ হাজার পেরলো। কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ৮ হাজার পার! উত্তর ২৪ পরগনাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমণের কবলে। দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে! উদ্বেগ বাড়িয়ে একদিনে সাড়ে পাঁচশোর বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে দেশে।
অন্যদিকে, করোনাকালে ব্যারাকপুরে চালু হল হেল্প লাইন নম্বর। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে এই পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে 'পাশে আছি'। ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যার নম্বরে জানালে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে ওষুধ, খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। তবে এই পরিষেবা শুধুমাত্র ব্যারাকপুরের পুর-নাগরিকদের জন্য।