সমীরণ পাল, বনগাঁ: পঞ্চম দফা ভোটের আগে বনগাঁয় (Bongaon) উদ্ধার হল টাকা। সূত্রের খবর উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ চাকা। বনগাঁ টাউন মার্কেটের ব্যবসায়ীর কাছে হিসাব বহির্ভূত টাকার হদিশ পেল পুলিশ।               

  


বনগাঁয় উদ্ধার হল টাকা: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বনগাঁ টাউন মার্কেটের একটি প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে হানা দেয় বনগাঁ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ভোটের মুখে হিসাব বহির্ভূত টাকা রাখা হয়েছে এই দোকানে। সেখানে পৌঁছন বনগাঁর বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ ও নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকেরা। টাকার অঙ্ক বেশি থাকায় খবর দেওয়া হয় আয়কর দফতরে। রাত ২:৪৫ নাগাদ কলকাতা থেকে ইনকাম ট্যাক্সের তিন আধিকারিক এসে পৌঁছয় বনগাঁয়। টাকার উৎস জানতে চায় ব্যবসায়ীদের কাছে। সূত্রের খবর, টাকার উৎস কী তার যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি ব্যবসায়ী। এরপর তাঁর দোকানেও তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে রয়েছে বনগাঁ থানার পুলিশ। 


নির্বাচন পর্বেই একাধিকবার টাকা উদ্ধার: গত সপ্তাহে মালদায় গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় টাকা। নাকা চেকিংয়ের সময় উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ২ লক্ষ টাকা। গাড়িতে ছিলেন বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক শান্তনু ঘোষ। এলআইসি এজেন্টকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এত টাকা নিয়ে বিজেপি নেতা কোথায় যাচ্ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। তার আগে এপ্রিল মাসে জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এমনই দাবি করে পুলিশ। মালবাজারের ক্রান্তি এলাকায় নাকা তল্লাশি চলছিল। পুলিশের দাবি, সেই সময় বিজেপির মালবাজার বিধানসভার আহ্বায়ক রাকেশ নন্দীর গাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও টাকার উৎস সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া শুরু করে পুলিশ। বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়, বিধানসভার কাজের জন্য ওই টাকা আনছিলেন বিজেপি নেতা।                                


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: West Burdwan: দুর্গাপুরে বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে গুলি, কাঠগড়ায় তৃণমূল