সমীরণ পাল, মধ্যমগ্রাম: উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে ফের বেআইনি জলের কারখানার হদিশ মিলল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কারখানা সিল করল পুলিশ। কারখানার মালিক পলাতক।  জলের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।


নামী ব্র্যান্ডের মনে করে বোতলবন্দি যে পানীয় জল কিনেছেন তা আসল তো? না কি, বোতলের লেবেলটাই শুধু ওই সংস্থার, ভেতরে সাধারণ জল। 


উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের ঘটনা আবার উসকে দিলে এই প্রশ্ন। ফের বেআইনি জলের কারখানার হদিশ। মধ্যমগ্রামের দেশবন্ধু রোডের এই নির্মীয়মাণ বাড়িতে গড়ে উঠেছিল বেআইনি জলের কারখানা। 


পুলিশ সূত্রে খবর, পুরসভার পাইপ লাইনে সরবরাহ করা জল ছাড়াও ভূগর্ভস্থ জল  তুলে জমিয়ে রাখার ব্যবস্থা ছিল কারখানায়। তার জন্য তৈরি করা হয়েছিল রিজার্ভার। নেই কোনও লাইসেন্স। বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার। 


বৃহস্পতিবার সকালে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ কারখানায় হানা দেন। সঙ্গে ছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার ফুড সেফটি অফিসাররাও। 


কারখানার মালিক পলাতক হলেও এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুর প্রশাসক নিমাই ঘোষ জানান, তদন্ত করে দেখা হবে। মধ্যমগ্রামের ফুড সেফটি অফিসার অনীশ সিংহ জানান, ওি কারখানায় লাইসেন্স ছিল না। কোনও নিয়মও মানা হয়নি।


বিশুদ্ধ ভেবে যাঁরা দিনের পর দিন এই জল খেয়েছেন, ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তাঁদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। এক বাসিন্দা বললেন, আমরা তো এখান থেকেই জল নিতাম। আগে জানতাম না। 


কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে খালি জলের জার, রাসায়নিক, নামী ব্র্যান্ডের লেবেল ও ক্যাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জলের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। 


আরও পড়ুন: নকল সিমেন্ট কারখানার হদিশ উত্তর ২৪ পরগনা, গ্রেফতার মালিক


আরও পড়ুন: বারাসতে নকল ভোটার কার্ড তৈরির পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার ২


আরও পড়ুন: বর্ধমানে পুলিশি অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে মজুত রাখা নকল মোবিল, আটক ১