সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাকুরনগর বাজারের ফল ব্যবসায়ীর (Businessman) উপরে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালো একদল দুষ্কৃতী। ফল ব্যবসায়ী মনরঞ্জন মজুমদারের মাথা সহ একাধিক জায়গায় কোপ লাগে। তাকে বাচাতে গিয়ে আক্রমণ হন তার ভাই । তার পেটে কোপ লেগেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ভাইকে চাদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা পর বারাসত হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় ঠাকুরনগর রেলগেটে নিজের দোকানে ব্যবসা করছিলেন মনোরঞ্জন অভিযোগ সেই সময় হঠাৎই একদল দুষ্কৃতী ধারাল অস্ত্র নিয়ে তার উপরে হামলা চালায়। দাদাকে বাঁচাতে আক্রান্ত হন ভাইও। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ঠাকুরনগর বাজারে। পরবর্তীতে এক আক্রমণকারীকে ধরে গণধোলাই দেয় সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আক্রমণকারীকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অন্যত্র রেফার করা হয়েছে। তবে ভরা বাজারে এইভাবে হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। কেনই বা তার উপরে হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা, প্রশ্ন উঠেছে।


গত বছর নভেম্বরে হাওড়ার  সাঁকরাইলে বাড়ির কাছেই প্রাণঘাতী হামলা শিকার হন এক ব্যবসায়ী। হামলায় জখম করে তাঁর কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। প্রায় ২ লক্ষ টাকা লুট করা হয় বলে অভিযোগ।  রাত বারোটা নাগাদ হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত চাপাতলা সর্দারপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত বারোটা নাগাদ প্রতিদিনের মত বেকারি ব্যবসায়ী আসলাম মোল্লা দোকান বন্ধ করে টাকার ব্যাগ নিয়ে চাপাতলার সর্দারপাড়ায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুইজন বাইকআরোহী দুষ্কৃতী বাড়ির কাছাকাছি তাঁকে পিছন থেকে বাঁশ দিয়ে মাথায় মারে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী।


আরও পড়ুন, শুভেন্দুর গড়ে পিঠেপুলি উৎসব, মঙ্গলে অন্য মেজাজে কুণাল ঘোষ


এরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর পিঠে আঘাত করা হয়। তারপর দুষ্কৃতীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে মোটরবাইকে চেপে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। পরে আসলামের এক আত্মীয় বাড়ি ফেরার সময় দেখেন মাটিতে একটি ফোন পড়ে রয়েছে। ওই ফোনে আলো জ্বলায় সেটি তাঁর চোখে পড়ে। ফোন ধরে ওয়ালপেপারে আসলামের ছবি দেখে ফোনটি চিনতে পারেন তিনি। তারপর বাড়ির দিকে এগোতেই তিনি দেখেন বাড়ির কাছাকাছি আসলাম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তা দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে পড়শিরা জড়ো হন। বাড়ির লোক ও পড়শিরা তাঁকে হাজি এসটি মল্লিক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ওই হাসপাতলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে রেফার করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর গোটা পরিবার প্রবল আতঙ্কে রয়েছে।