সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: জগদ্দলে (Jagatdal) তৃণমূল বিধায়কের ৫ ঘনিষ্ঠ গ্রেফতার। জমি ব্যবসায়ীকে মারধর, তোলাবাজি, খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগে তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
জমি ব্যবসায়ীর পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি। খুনের চেষ্টা, মারধর, তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল জগদ্দলের বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ৫ তৃণমূল কর্মীকে। ভাটপাড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাঁসিয়া ঘোষপাড়ায় জমি প্লটিংয়ের কাজ করছেন রামমোহন পল্লির বাসিন্দা, পেশায় জমি ব্যবসায়ী সমীর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে ৩ দুষ্কৃতী এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের ভাইয়ের নাম করে হুমকি, মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ব্য়বসায়ী দাবি করেন, বচসা চলাকালীন এক দুষ্কৃতী পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ৫ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। যা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে শুরু হয় বাকযুদ্ধ।
জগদ্দল তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেছেন, প্লটিং দেখার জন্য বলেছিলাম। মিথ্যে অভিযোগ। বিজেপির চক্রান্ত ধৃততের বিষয়ে যা বলছে, তা একটু রাখতে হবে। ব্যারাকপুর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ভট্টাচার্য বলেন, যতদিন তৃণমূলের সঙ্গে থাকবেন ততদিন আপনি ওদের দলে, যেই টাকা দেবেন না, ওমনি মারধর হুমকি, আমাদের বিরুদ্ধে হাস্যকর অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগপত্রে বিধায়কের ভাইয়ের নাম নেই। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে বিধায়কের ভাইয়ের কোনও যোগসূত্রও মেলেনি।
আরও পড়ুন, এই জেলার সমুদ্র ফিরিয়ে দেয় সম্পর্ক, এখানের মাটি থেকেই মাস্টার স্ট্রোক বঙ্গ-রাজনীতিতে
গতবছর এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল খড়গপুরে। খড়গপুরের ওল্ড সেটেলমেন্ট এলাকায় বাড়ির সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল এলাকার পরিচিত মুখ, তৃণমূল কর্মী, ভেঙ্কট রাওকে। সেই ঘটনায় এবার গ্রেফতার করা হয়েছিল গতবছর এক তৃণমূল কর্মীই। আর তারপর থেকেই এই খুন ঘিরে শাসকদলের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল শিবির। তৃণমূল কর্মী ভেঙ্কট রাও খুন হওয়ার ৫ দিনের মাথায়, শুভম সোনার, ঈশ্বর রাও ও জে কৃষ্ণা রাও নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ধৃত এই ৩ জনের মধ্যে শুভম সোনার এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত।