সমীরণ পাল, দত্তপুকুর: বাজেয়াপ্ত ফোন দেওয়াকে ঘিরে হুড়োহুড়ি, শিক্ষাকর্মীর মৃত্যু দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ায়। ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে স্কুলে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। কীভাবে স্কুলের অশিক্ষক কর্মীর মৃত্যু? এখনও ধোঁয়াশা।
শিক্ষাকর্মীর মৃত্যু দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ায়: দত্তপুকুরের (Duttapukur) ছোট জাগুলিয়া হাইস্কুলে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন আনাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়। স্কুল ছুটির পর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল ফোন ফেরত চায়। এরপরই স্কুলের শিক্ষাকর্মী শিবু শি-র স৫ঙ্গে বচসা তৈরি হয়। ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে স্কুলে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। হুড়োহুড়ির মাঝে পড়ে যান শিবু। সঙ্গে সঙ্গে শিবু শিকে ছোট জাগুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কী বলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ?
স্কুলের টিআইসি জানিয়েছেন, "ছুটির পর একটা ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় আমরা ছিলাম না। নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ১২-১৩ জন ছাত্রছাত্রী মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছিল। তাদের মোবাইল ফোন অভিভাবকদের দেখে আগামীকাল ফেরত দেওয়া হবে এমনটাই বলা হয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনা।'' পুলিশ জানিয়েছে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিবুর। পরিবারের তরফ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘটনার সময় স্কুলে তাণ্ডব চালায় ছাত্র-ছাত্রীরা। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।
দিনকয়েক আগে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ট্রাক চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যের এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers)। সাগরের কোম্পানি ছাড় এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সঞ্জয় মাইতি। পরিবার সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে অসমের করিমগঞ্জে পানীয় জলের জন্য পাইপ লাইন বসানোর কাজে যান বছর চল্লিশের সঞ্জয়। তিনিই ছিলেন চারজনের সংসারে একমাত্র রোজগেরে। গত বৃহস্পতিবার কাজ সেরে অস্থায়ী তাঁবুতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সঞ্জয়। সেই সময় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁবুর ভিতর ঢুকে পড়ে। পরিযায়ী শ্রমিককে পিষে দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: এক মামলায় জামিন পেলেও জেলমুক্তি নয়, ফের গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়