প্রকাশ সিনহা, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বিধাননগর: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সেক্টর ফাইভে জবরদখল (Salt Lake Footpath Cleaning Drive) করে রাখা ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে সক্রিয় ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে অভিযান। যৌথ অভিযানে নেমেছে পুলিশ এবং পুরসভা। শুধু সেক্টর ফাইভ নয়। এক ছবি দেখা গেল সেক্টর থ্রি-তেও।
কী জানা গেল?
গত কাল, সোমবার, নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে পুর-পরিষেবার হাল নিয়ে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন ঠিকঠাক নাগরিক-পরিষেবা মিলছে না, সেই নিয়ে একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা করেন কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পুরসভার নানা স্তরের কর্তাব্যক্তিদের। এমনকি রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নাম করে ভৎর্সনা করতেও ছাড়েননি। পরিষ্কার বলেন, 'রাজারহাট, সল্টলেকে দখলদারি হচ্ছে। সল্টলেকে সুজিত বসু ইচ্ছেমতো বাইরে লোক বসাচ্ছে। কেন বাইরের লোক বসবে ? ARD অফিসের সামনে একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছে একটা করে বসে পড়ছে। ছবি দেখালে লজ্জা পেয়ে যাবেন। কেন ? হোয়াই হোয়াই হোয়াই। কাকে টাকা দিতে হয়েছে ? কারা কত টাকা নিয়েছে আমি জানতে চাই। কেন পুরসভার কাউন্সিলররা কাজ করে না। এবার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে হবে? আমি কত ঝগড়া করব?' তার পর, আজ সকাল থেকে অভিযান শুরু হয়ে যায় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, সেক্টর থ্রি-র ফুটপাথে।
সকাল হতেই সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ে পৌঁছে যায় ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। খালি চোখেও দেখা যাচ্ছে, কলেজ মোড়ের ফুটপাথের ৯০ শতাংশই দখল করে নিয়েছেন হকাররা। কড়া ভাষায় তাঁদের এদিন পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ফুটপাথের ওই অংশ দখলমুক্ত করতে হবে। এ জন্য সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সময় ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। সেক্টর থ্রি-র ক্ষেত্রে আবার গত কাল, সোমবারই, পুলিশের তরফে হকারদের বলে দেওয়া হয়েছিল, যে আজকের মধ্যে ফুটপাথ খালি করতে হবে। সেক্টর থ্রি, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের যে কটি এরকম ওয়ার্ড রয়েছে, তা এদিন প্রথমে খালি করে দেওয়া হয়। তার পর, সেই কাচা নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়। এসএসকেএমের বাইরের ফুটপাথের জবরদখল হঠানোরও চেষ্টা করা হয় এদিন। সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলরও। এসএসকেএম লাগোয়া ফুটপাথে সারি বেঁধে এত দোকান যে উপায় কার্যত নেই। আজ সেই দোকানিদেরই চূড়ান্ত 'ওয়ার্নিং' দেওয়া হয়, জানালেন কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন:কোথাও কমলা সতর্কতা, কোথাও হলুদ, এই জেলাগুলিতে আজ থেকে লাগাতার বৃষ্টি