সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paraganas) তৃণমূল (TMC) পরিচালিত অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায় দুর্নীতির পুরনো অভিযোগ ঘিরে পোস্টার পড়ল শহরে। হয় দোষীদের গ্রেফতারি, নইলে সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation), এমনই দাবি জানানো হয়েছে পোস্টারে। তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরে চড়ছে পারদ। 


দুর্নীতির পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর


শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শুরু করে রহস্যমৃত্যু, পুড়িয়ে খুন, কাউন্সিলর হত্যা, একাধিক ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে রাজ্যে। আর তা নিয়ে শাসক-বিরোধী সংঘাত লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এলাকায় এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। 
 
পোস্টারে লেখা হয়েছে, ৩ কোটি টাকার চোরদের ধরতে হবে, নইলে সিবিআই তদন্ত করতে হবে। একই পোস্টার কোথাও দেওয়া হয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI-এর নামে, কোথাও আবার তা দেওয়া হয়েছে অশোকনগর অধিবাসীবৃন্দের নামে। 


উত্তর ২৪ পরগনার এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক আকাশ করের বক্তব্য, 'আমি জানি না আমাদের সংগঠনের কেউ এরকম পোস্টার দিয়েছে কিনা। আমরা এরকম বলিনি সে অর্থে। এরকম নির্দেশ কিছু দেওয়া হয়নি। কিন্তু পোস্টারে যা লেখা আছে, লেখায় তো কোনও ভুল নেই।'


কে দিল পোস্টার? নেই উত্তর


পোস্টার তাহলে দিল কে? তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অশোকনগরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শ্যামলেন্দু দে বলেন, 'তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে পোস্টার।'


অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার বলেন, 'আইনগতভাবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হয়েছে। কিছু টাকা ফেরত এসেছে। এই মুহূর্তে পুরসভার কোষাগারে টান। তিন কোটি টাকা যদি ফেরত পাওয়া যায় খুব ভাল হয়। কারা পোস্টার দিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।'


অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সদস্য, পুর পারিষদ সমীর দত্তের কথায়, 'ব্যাপারটি আদালতে বিচারাধীন। পোস্টারের পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। কিছু  অত্যুৎসাহী এরকম পোস্টার মেরেছে। তদন্ত চলছে তাই এর বেশি কিছু বলব না।'


আরও পড়ুন: Sanskrit University: অফলাইন-অনলাইন মিশিয়েই পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্তে খুশি দু'পক্ষই


২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সমীর দত্ত। তাঁর জমানায়  অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায় ৩ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। চেয়ারম্যান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সই জাল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়। কয়েকজন গ্রেফতারও হন।