উত্তর ২৪ পরগনা: ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) আগে বসিরহাটে অভিষেকের সভার (Abhishek Banerjee) দিনেই ফের উত্তেজনা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। তবে এবারের অভিযোগটি পুরোপুরি ভিন্ন। যদিও অভিযোগের আঙুল সেই শাসকদলের দিকেই। সন্দেশখালিতে সরকারি প্রকল্পের ইট চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে (TMC)। 


কেন ফের TMC নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ সন্দেশখালির বাসিন্দাদের ?


ঠিকাদারের সঙ্গে মিলে অঞ্চল সভাপতি ইট চুরি করার চেষ্টা করছেন, এই অভিযোগে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও ঠিকাদারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, দিনকয়েক আগে সরকারি প্রকল্পের ইট আনা হলেও, মাঝপথে থমকে যায় কাজ। অভিযোগ, সেই ইট সরানোর চেষ্টা করছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। সন্দেশখালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের দাবি, বেঁচে যাওয়া ইট অন্যত্র কালভার্ট তৈরির কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তা নিয়ে গ্রামবাসীরা ভুল বোঝায় এই ঘটনা।  


'শেষ হয়েও হইল না শেষ..'


বহুদিন অধরা থাকার পর সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছে শেখ শাহজাহান। এদিন এই ইস্যুতেই বসিরহাটের সভা থেকে বিরোধীদের আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, সন্দেশখালি নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। শেখ শাহজাহানকে ইডি-সিবিআই ধরেনি, মমতার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সুদীপ্ত সেনকে ইডি-সিবিআই ধরেনি, মমতার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা অন্যায় করে থাকলে রেয়াত নয়। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে আমরা ব্যবস্থা নিই। যাঁদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে শেখ শাহজাহান, কেন শিবু-উত্তমদের হেফাজতে নিচ্ছে না সিবিআই।' 


আরও পড়ুন, 'ভাল শিক্ষা দিতে হবে', বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া বার্তা বিচারপতি অমৃতা সিনহার


শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ


একের পর এক গ্রেফতারির পরও আতঙ্ক কাটছে না সন্দেশখালির। নতুন করে এদিন ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে যায় বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের নেতৃত্বে আইনজীবীদের দল। সন্দেশখালির বাসিন্দাদের বয়ান নথিভুক্ত করেন তাঁরা। জমি দখল থেকে সন্ত্রাস, শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ জানাতে পড়ে যায় দীর্ঘ লাইন। শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে কেউ এনেছেন কাগজের কাটিংও। কেউ আবার বলেন, বারবার থানায় গেলেও কর্ণপাতই করেনি পুলিশ।