সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পরিত্যক্ত পুকুর থেকে কঙ্কালের খুলি (Skull found from desserted pond) উদ্ধার ঘিরে হইচই এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী (police force reaches habra)। কার কঙ্কাল? পরিত্যক্ত পুকুরে ওই খুলিই বা এল কী ভাবে? উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা থানার অন্তর্গত হিরাপোল এলাকার ঘটনায় শোরগোল।
কী ঘটেছিল?
পুকুরের পাড়ে ঘুরতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় বাসিন্দাদের কারও কারও। নজরে আসে, পুকুরের মধ্যেই পড়ে রয়েছে একটি কঙ্কালে খুলি। কোথা থেকে এই খুলি এল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যে পরিত্যক্ত পুকুরে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে জল নেই। সেই পুকুর পাড়ে আমের পাতা আনতে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। সেখানে গিয়েই এই দৃশ্য নজরে আসে। খবর দেওয়া হয় হাবরা থানায়। পুলিশবাহিনী তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে। পরিত্যক্ত পুকুরের মধ্যে থেকে কঙ্কালের খুলি উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে গাইঘাটা থেকে পাঁচ বছর আগে নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার ঘিরে হইচই পড়ে যায়।
গাইঘাটা থেকে উদ্ধার কঙ্কাল...
সে বার কালীপুজো উপলক্ষ্যে পরিত্যক্ত ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে কঙ্কালের খোঁজ মেলে। পুলিশ এসে কঙ্কালটি উদ্ধার করেছিল। প্রাথমিক ভাবে কঙ্কালের পাশে পড়ে থাকা জামা দেখে পরিবারের দাবি ছিল, এটি মনোজ সর্দার নামে এক ব্যক্তির। ৩ বছর আগে নিখোঁজ হন মনোজ, গাইঘাটা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়, দাবি তাঁর পরিবারের। তার আগে, অগাস্টে আরামবাগ রোডের ধারে ধানের জমি থেকে আর এক মানব কঙ্কালের অংশবিশেষ উদ্ধার হয়। মাথার খুলি,পাঁজরের অংশ-সহ বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ। মানবদেহের কঙ্কালের অংশবিশেষ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মাধবডিহি থানার উচালন এলাকার ঘটনা। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও সল্টলেক, ভবানীপুর, কোচবিহার, ফলতা, জগদ্দল, বীরভূম-সহ একাধিক জায়গায় এর আগে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার আগেই উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে একটি হাড় হিম করা ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে। ৬ বছর আগে দাদাকে খুন করে থানায় গিয়ে স্বীকারোক্তি দেন ভাই। বাড়ির উঠোন খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করেপুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দুই ভাইকেই। একে একে উঠে আসে হাড়গোড়, খুলি। বাড়ির উঠোনে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় নর কঙ্কাল। হাড় হিম করা এই ছবি উত্তর চব্বিশ পরগনার জগদ্দলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, মা মারা যাওয়ার পর অন্যত্র চলে যান বাবা। কাউগাছি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্যামনগর আদর্শপল্লির এই বাড়িতে থাকতেন তিন ভাই। ২০১৪-তে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান বড় ভাই নিপু শীল। এলাকা ছাড়েন দুই ভাই অপু ও তপু। তারই ৬ বছর পর অবশেষে এই নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন:'মানুষের কিছু জানানোকে বিক্ষোভ বলে না,' বার্তা মমতার