সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নৈহাটিতে (Naihati) তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের (TMC BJP Clash) ঘটনায় গ্রেফতার পুরপ্রধানের ছেলে (Son Of Municipality Chairman Arrested)। স্থানীয়দের দাবি, ধৃত এক জন যুব তৃণমূল নেতা। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তাতে দুপক্ষের সংঘর্ষে মোট ৫ জন জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর জখম বিজেপি নেত্রী শম্পা সরকারের স্বামী।
যা জানা গেল...
ধৃতের নাম অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে। তা ছাড়াও আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় বিজেপির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় নৈহাটি থানায়। তাতে দাবি করা হয়, অভিজিতের নেতৃত্বে শম্পা সরকারের স্বামী সৌমেন সরকারের উপর হামলা করা হয়েছিল। হামলার জেরে গুরুতর জখম সৌমেনকে প্রথম নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সেখান থেকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার সূত্রপাত গত কাল রাতে। অভিযোগ, অভিজিৎ বাইকে করে ফিরছিলেন। সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে বচসা শুরু করেন বিজেপি নেতারা। অভিজিতের দাবি, তখন তাঁর উপরই হামলা চালায় বিজেপি। যদিও অন্য কথা বলছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অভিজিতের নেতৃত্বে হামলা চলে সৌমেন সরকারের উপর। উপস্থিতি বিজেপি কর্মীরা তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁদের উপরও আক্রমণ চলে। ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এখনও টহল দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, জানুয়ারির শেষাশেষিও খবরে আসে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ। সেবার তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলির মৈপীঠ।
কী ঘটেছিল কুলতলিতে?
কুলতলির মৈপীঠের ঘটনায় জখম হন দু'দলের ৫ কর্মী-সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনে বিজেপি। পাল্টা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে তৃণমূল। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মৈপীঠ কুলতলি থানার অন্তর্গত শনিবারের বাজারে একটি সমাবেশ উপলক্ষ্য়ে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে গণ্ডগোলের আভাস ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই জন্য় আগে থেকেই পৌঁছে যান তাঁরা। সরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির সমাবেশ। অভিযোগ, যখন তাঁরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। কিন্তু কেন? নেপথ্যের কারণ কী? খুঁজে দেখতে শুরু করে পুলিশ। উল্লেখ্য হালে, সমবায় নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এগরায়। উদ্ধবপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তার আগে গত বছর মার্চে হোলি খেলা ঘিরে অর্জুন সিংহের বাড়ির সামনে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ৪ জন আহত হন। জগদ্দলে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে সদলবলে হামলার অভিযোগ ওঠে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার পর, গত নভেম্বরে, ডেঙ্গি নিয়ে বিজেপির পুরসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে নৈহাটি পুরসভার সামনে। রক্তাক্ত হন মহিলা বিজেপি কর্মী। পুলিশের সামনেই ঝরে রক্ত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। দলের মহিলা কর্মীদের উপরেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, 'জবাব দিয়েছে সাধারণ মানুষ'।
আরও পড়ুন:জেল থেকেও হুমকি গ্যাংস্টারের, চরম পরিণতির হুঁশিয়ারি, সলমনের নিরাপত্তা বাড়ানোর ভাবনা