সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বাইক দুর্ঘটনাকে (Motorbike Accident) কেন্দ্র করে বরানগরে (Barangar) সতীন সেন নগরে ক্লাব ভাঙচুর, নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC)। অভিযোগ, দুষ্কৃতী তাণ্ডবে বাধা দিতে গিয়ে ২ ক্লাব সদস্য জখম হন। অশান্তি শুরু হয় একটি মোটরবাইক দুর্ঘটনা ঘিরে।
কী ঘটেছিল?
অভিযোগ, গতকাল সন্ধেয় এক মহিলাকে ধাক্কা মারে মোটরবাইক। সেখান থেকে বচসার জেরে ক্লাবে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ও তার দলবল। ক্লাব সদস্যদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বরানগর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। সরব হয়েছে বিজেপি। ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। যদিও তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এর আগেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বহু একাধিক তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে। গত বছর নভেম্বরে যেমন, সাংগঠনিক বৈঠকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের ঘটনা। বৈঠক চলাকালীন দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ করে বিজেপির। বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি-সহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলেছিল বলে অভিযোগ। ১০-১৫জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলার অভিযোগ। 'তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব', অভিযোগ বিজেপির। হামলার প্রতিবাদ রঘুনাথগঞ্জে পথ অবরোধ করে গেরুয়া শিবির। 'জনভিত্তি নেই, শুধুই অশান্তির চেষ্টা', অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
আরও যা...
একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কেষ্টপুরে, তৃণমূল কাউন্সিলারের অফিসে ডেকে, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে কেষ্টপুরে। 'আখের রসের মেশিনে ঢুকিয়ে মুড়ে দেব ', কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার পর হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে, পাল্টা জবাব দেয় তৃণমূলও। বিজেপি কর্মীর পারিবারিক বিবাদ মেটাতে অফিসে ডাকেন তৃণমূল কাউন্সিলর।সেখানেই বিজেপি যুব নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে! পাল্টা , শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছইল তৃণমূলও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় কেষ্টপুরে। বিজেপির দাবি, পারিবারিক বিবাদ মেটানোর কথা বলে, তাঁদের এক কর্মীকে পার্টি অফিসে ডেকেছিলেন বিধাননগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ। সেখানেই বিজেপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন রাজারহাট নিউটাউন মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক-সহ দু-তিনজন। বিজেপি নেতা বিকাশ বিশ্বাস বলেন,'রাজীবের কিছু একটা পারিবারিক সমস্যা নিয়ে বিচার ডেকেছিল। ওই পৌরপিতার অফিসে গেলাম, আমি ভিতরে যেই ঢুকলাম, উনি চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে বলছেন, তোর নেতাগিরি ছুটিয়ে দেব, চড়-থাপ্পর মারলেন। প্রকাশ্যে পাবলিক প্লেসে মেরে অজ্ঞান করে দিলেন।'