সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূলের (TMC) 'বিবাদ' ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বসিরহাট (Basirhat) থানার কনস্টেবল (Constable)। ঘটনায় বাড়ল গ্রেফাতারির সংখ্যা। ঘটনায় তৃণমূল নেতা-সহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি। 


বসিরহাটের ঘটনায় গ্রেফতার ৪১


গতকালের ঘটনায় ধৃত সিরাজুল ইসলাম বেশে নিমদাঁড়িয়া কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নজরুল হকের ঘনিষ্ঠ। গতকালের ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি।


স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সদস্য ও তৃণমূল নেতা শাহানুর মণ্ডলের সঙ্গে তৃণমূল নেতা ও ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠ সিরাজুলের দীর্ঘদিনের বিবাদ। অভিযোগ, গতকাল শাকচূড়া বাজার এলাকায় পার্টি অফিসের সামনে দু’পক্ষের বিবাদ চলাকালীন শাহানুর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহ সভাপতি আসরাফুল জামান বুলবুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সিরাজুল অনুগামীরা। গুলি লাগে বসিরহাট থানার কনস্টেবল প্রভাত সরকারের পিঠে। বারাসাত নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পুলিশ কর্মী। রাতে র‍্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।


 






এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, 'পুলিশের এখন কাজ হল তৃণমূলের বিবাদ মেটানো। এই করতে গিয়ে পুলিশ গুলি খাচ্ছে।' বসিরহাটে কনস্টেবলকে গুলিকাণ্ডে তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি।


আরও পড়ুন: Bomb Recovery : ৫ দিনে ৩ বার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির গ্রামে ফের বোমার হদিশ


অন্যদিকে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এস.আই-সহ ভিলেজ পুলিশ। এছাড়া, গতকালও ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলে। বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসহরী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। তাতে দলেরই এক কর্মী আহত (injury) বলে খবর মেলে।