সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচের হিসেব দেখতে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা শুনলেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ করলেও প্রাপ্য টাকা মেলেনি। অভিযোগ জানানোর সময় কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে বচসায় জড়ান তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
১০০ দিনের কাজ করলেও টাকা মেলেনি। কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের সামনে সেই অভিযোগই তুললেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সামনেই উঠল অভিযোগের ঝড়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে টাকা বণ্টনে দুর্নীতি হয়েছে। তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাননি। এ নিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগের আঙুল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ কীভাবে খরচ হয়েছে তা দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় দলের তিন প্রতিনিধি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় আউলডাঙা গ্রামে রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যান। কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের সামনে পেয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
গ্রামবাসীরা যখন অভিযোগ জানাচ্ছেন, তখন সেখানে উপস্থিত তৃণমূল পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি প্রতিবাদ করে কারণ ব্যাখ্যা করতে গেলে তাঁর সঙ্গে অভিযোগকারীদের বচসা বেধে যায়।
Suvendu Adhikari: সভার আগেই উত্তেজনা, শুভেন্দুর ছবি-সমেত পোস্টারে ছয়লাপ শহর
বাগদার রণঘাটের অভিযোগকারী গ্রামবাসীর কথায়, ১০০ দিনের কাজ করে টাকা পাইনি। সেই টাকা পঞ্চায়েতের সদস্যরা তুলে নিয়ে অন্যদের ভাগ বাঁটোয়ারা করে দিচ্ছে। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
তৃণমূল পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের কথায়, বিজেপি চক্রান্ত করে বিক্ষোভ করাচ্চে। কেন্দ্রই তো প্রকল্পে টাকা দেয় না। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি অমৃতলাল বিশ্বাসের দাবি, দুর্নীতি তো করেছে। টাকা নিয়ে সরিয়ে ফেলেছে। বিজেপি কেন বিক্ষোভ করাবে? গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের কথা শুনে কেন্দ্রীয় দলের আধিকারিকরা আশ্বাস দেন, যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য টাকা পাবেন।