সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : দোলের দিন (Dol Ustav) মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ, প্রতিবাদ করায় ABVP নেতা ও তাঁর প্রাক্তন সেনাকর্মী বাবা ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মোহনপুরে। তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, পারিবারিক কারণে গন্ডগোল বলে দাবি করেছে শাসকদল। 


এবিভিপি নেতা, তাঁর প্রাক্তন সেনাকর্মী বাবাকে মারধর


বাড়িতে ঢুকে এবিভিপি নেতা ও তাঁর প্রাক্তন সেনাকর্মী বাবাকে মারধর। ভাইয়ের ওপরেও হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। দোলের দিন এই নিয়েই উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার মোহনপুর থানা এলাকার শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জন্মেজয় মাহাতো। কার্গিল যুদ্ধে লড়েছেন এই প্রাক্তন সেনা।  গত ১৮ বছর ধরে তাঁর বাস মোহনপুরের শিউলির কলেজ পল্লিতে। ছেলে জগদীশ মাহাতো RSS-এর ছাত্র সংগঠন ABVP-র নেতা। প্রাক্তন সেনাকর্মীর অভিযোগ, দোলের দিন প্রতিবেশী তৃণমূল কর্মীর অভব্য আচরণের প্রতিবাদ করায়, তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। তাঁকে ও তাঁর দুই ছেলেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।


তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ


অভিযোগকারী প্রাক্তন সেনাকর্মী জন্মেজয় মাহাতো বলেছেন, হোলির দিন মদ খেয়ে গালাগালি করছিল। প্রতিবাদ করাতে উত্তেজিত হয়। আধঘণ্টা পর ৪-৫ জন লোক এসে দুই ছেলেকে মারে। ঠেকাতে গিয়ে আমাকেও মেরেছে। এদিকে, এবিভিপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার যুগ্ম সম্পাদক জগদীশ মাহাতো বলেছেন, 'যার সাথে ঝামেলা টিএমসিপি করে। মদ খাচ্ছিল বলে ভাই গিয়ে মানা করল। ঘরে ঢুকে মেরেছে। বাবাকে চোখে মেরেছে।'


তৃণমূল কর্মী পাঁচুগোপাল কুণ্ডুর বিরুদ্ধে মোহনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর খোঁজ মেলেনি। তবে গন্ডগোলের নেপথ্যে রাজনীতি-যোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির। শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা অরুণ ঘোষ বলেছেন, 'এখানে বিজেপির কোনও কর্মীকেই মারা হয় না। ওদের পারিবারিক ব্যাপার। সবাই তো তৃণমূল। শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলাম'। যদিও থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার না হওয়ায়, আতঙ্কিত এবিভিপি নেতার পরিবার। 


আরও পড়ুন- টাকার পাহাড়ে শহর ! ফের বান্ডিল বান্ডিল নোট উদ্ধার, কোটি কোটি টাকার খোঁজ


প্রসঙ্গত, দুয়ারে কার্যত পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্যের একাধিক জায়গা জুড়ে উদ্ধার হয়েছে বোমা, গুলি, অস্ত্র। বিভিন্ন জায়গা কার্যত উত্তপ্ত হয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে বারবার।