আব্দুল ওয়াহাব, সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ওড়িশায় জাতীয় সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে বাংলার সাত বাসিন্দার। রবিবার ওই সাত জনের নিথর দেহ ফিরল বসিরহাটের বাড়িতে। তাঁদের দেখতে ভেঙে পড়ল গোটা গ্রাম। কান্নায় ভেঙে পড়লেন সকলে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও সাহায্যই এই মর্মান্তিক ঘটনা ভুলিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয় বলে মত সকলের (North 24 Parganas News)।
রবিবার ওই সাত জনের নিথর দেহ ফিরল বসিরহাটের বাড়িতে
শনিবার ভোরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়। বসিরহাটের (Basirhat News) নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই সাত জন। সর্দার পাড়া থেকে বেরিয়েছিলেন গাড়িতে চেপে। ওড়িশা থেকে মুরগি আনতে যাচ্ছিলেন। পথে ওড়িশার জাজপুরের কাছে জাতীয় সড়কে দু'টি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। তাতে গাড়িতে থাকা সাত জনেরই মৃত্যু হয়।
বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। রবিবার নিথর দেহগুলি এসে পৌঁছতে, আবেগ বাঁধ ভাঙে। কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামের মানুষ জন। গোটা গ্রাম তো বটেই, আশাপাশের এলাকা থেকেও হাজার হাজার লোকজন কার্যত ভেঙে পড়েন বাড়িতে। একবার শেষ দেখা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে পৌঁছন আত্মীয়-স্বজনরাও।
এ দিন গ্রামে পা রাখতেই তাই কান্নার শব্দ শোনা যায়। কেই স্বামী হারিয়েছেন, কেউ সন্তান। ছোট ছোট শিশুরা হারিয়েছে বাবাকে। চারিদিকে শোকের ছায়া। কথা বলতে গিয়ে কার্যতই শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষ জন। খেটে খাওয়া মানুষ, দু'পয়সা রোজগারের আশায় বেরিয়ে এমন পরিণতির শিকার হবেন, মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল
ওই সাত জনের মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্য়েই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। নিহত সাত জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে রাজ্য। তৃণমূলের স্থানীয় সংগঠন জানিয়েছে, ১০ হাজার টাকা করে পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দিন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, এডিএম প্রীতি গোয়েল, এসপি জবি টমাস, মহকুমাশাসক মৌসম মুখোপাধ্যায় সেখানে ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের নেতৃত্ব হাজি নুরুল ইসলাম, সরোজ ভট্টাচার্য, রফিকুল ইসলাম, সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, এটিএম আবদুল্লা।