উত্তর ২৪ পরগনা: মধ্য়মগ্রামে বাড়িতে (Madhyamgram Blast) হঠাৎ বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম গৃহবধূ। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে দেওয়াল ভেঙে যায়, সেই ভাঙা দেওয়ালের আঘাতে আহত হয় আরও তিনজন। মঙ্গলবারের সেই ঘটনার একদিন পরেও ধোঁয়াশা। বিস্ফোরণস্থল সিল করল পুলিশ।
 
ওই বাড়িতে অক্ষত গ্যাস সিলিন্ডার, তাহলে কীভাবে বিস্ফোরণ? একদিন পরেও এখনও রহস্য়।


বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সিল করে দিয়েছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে সেভাবে কিছু বোঝা যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল নমুনা সংগ্রহ করলে তদন্ত প্রক্রিয়া এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। 


জখম মহিলার বয়স ৬৮ বছর। তিনি বারাসত মেডিক্যাল কলেজে (Barasat Medical College) ভর্তি রয়েছেন। দেওয়াল ভেঙে পড়ে যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁদের একজন বলছেল, 'আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। হঠাৎ একটা কান ফাটানো আওয়াজ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেওয়াল ভেঙে পড়েছিল আমার গায়ে। পাশে ঘর থেকে আমার স্বামী ছুটে এসে আমায় বের করেন। কালো ধোঁয়া আর খুব বাজে একটা গন্ধ পাচ্ছিলাম।' পড়শিরাও কান ফাটানো আওয়াজের কথা বলেছেন।  


মঙ্গলবার সন্ধেয়, মধ্য়মগ্রামের শ্রীনগরে আচমকা এই বাড়ি থেকে বিকট শব্দ ভেসে আসে। এই বাড়িটিতে থাকেন, ৫ ঘর ভাড়াটে। দোতলার এই ঘরে, থাকেন এক বয়স্ক দম্পতি। পড়শিদের দাবি, এই ঘর থেকেই কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে। 


এক পড়শি বলেন, 'আমি তো ভেবেছি ভূমিকম্প। বেরিয়ে এসে দেখি আগুনের হলকা। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। সবাই দেখি বাঁচান বাঁচান বলছে। আমাদের আইডিয়া নেই। কেন হল। কী হল। বয়স্ক দম্পতি থাকতেন।' স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই ঘরের ভাড়াটিয়া, রানু পাল, ধূপকাঠি জ্বালাচ্ছিলেন। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। ঝলসে যান গৃহবধূ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় বারাসাত হাসপাতালে। এদিকে বিস্ফোরণের অভিঘাতে দুটি ঘরের মাঝের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণে, চুরমার হয়ে যায় জানালা। বেঁকে যায় জানালার গ্রিল। এমনকী সিঁড়ির এই হাতলের অংশও উড়ে গেছে। জানলার পাল্লা বেঁকে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রান্নার গ্য়াস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়নি। তাহলে কী থেকে বিস্ফোরণ? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য়।              


আরও পড়ুন: ১০৮ ফুটের ধূপ! বিশালকার লাড্ডু! আর কীভাবে প্রস্তুতি অযোধ্যায়?