রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর: ফের বিধান নগর কমিশনারেট এলাকায় ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ।
নারায়ণপুর থানা এলাকার পূর্ব বেড়াবেড়িতে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলল। নারায়ণপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার ১১ জন তরুণী ও ১০ জন যুবক। উদ্ধার হয়েছে ৪৬টি মোবাইল। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বহু নথি। আজ ধৃতদের ব্যারাকপুর কোর্টে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নারায়ণপুর থানা ও বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ওই ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দেয়। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা চক্র চালানো হতো। এরপরেই সেখানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। পুলিশ জানতে পারে ওই অফিসে বসে সাধারণ মানুষকে ফোন করে ফাইভ জি মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো। ধৃতরা বিহার, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, সল্টলেক, নদিয়া, হাওড়া সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
আগেও ধরপাকড়:
কয়েকদিন আগেই সল্টলেকে ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সেই অভিযানে আন্তর্জাতিক কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করা হয়েছিল। মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল মূল চক্রী কৃষ্ণ শর্মাকে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের আর্গো টাওয়ারে হানা দিয়েছিল বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। সেখানে ১০০৫ নম্বর ঘরে কৃষ্ণ ইনফোটেক নামের একটি ভুয়ো সংস্থা চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে বহু সংখ্যক মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, রাউটার সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, এই ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল ব্যবহার করে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের নাগরিকদের ফোন করা হতো। নিজেদের ইন্স্যুরেন্স সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিত এই প্রতারকরা। এভাবে তাদের বিমা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশি মুদ্রা হাতিয়ে নেওয়া হতো বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের মূল পান্ডা কৃষ্ণ শর্মা-সহ ৩৫ জনকে সেই অফিস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
তার আগে জানুয়ারি মাসেও এমন ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ মিলেছিল। টেক সাপোর্টের (Tech Support) প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণার (Foreigners faces Fraud) অভিযোগে সল্টলেক (Saltlake) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১৩ জনকে।
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার পুরপ্রধানের ছেলে-সহ ২