জয়ন্ত পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সাইবার প্রতারণা এবং জালিয়াতির (Cyber Fraud) বিরুদ্ধে সচেতনতা অভিযান চলছে রাজ্য জুড়ে। তার মধ্যেই নারায়ণপুরে ভুয়ো কল সেন্টারের (Fake Call Centre) হদিশ মিলল। সেখান থেকে অ্যাপের মাধ্যমে চটজলদি ঋণ (Loan Fraud) পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চলছিল বলে অভিযোগ। মূলত ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দাদের ঋণের টোপ দেওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas News) বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত নারায়ণপুরের লালকুটি এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার রাতে ওই ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দেয় গুজরাত পুলিশের (Gujarat Police) একটি দল। তাতেই ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দাফাঁস হয়। কলসেন্টারের তিন জন মহিলা এবং তিন জন পুরুষ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে গুজরাত পুলিশ। এর পিছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার ওই কল সেন্টার থেকে গুজরাতের বহু মানুষের কাছে ফোন যেত। অ্যাপের মাধ্যমে ঝঞ্ঝাটহীন ভাবে সহজে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হতো। সেই জালে পা দিয়ে অনেকে প্রতারিত হন। তাতে বিষয়টি কানে পৌঁছয় গুজরাত পুলিশের। সেই মতো এ রাজ্যে ওই ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান পেতে পা রাখে গুজরাত পুলিশের একটি দল।


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal Update: ভোট পরবর্তী হিংসায় তলব, সিবিআই-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে অনুব্রত


কল সেন্টারটিকে চিহ্নিত করে এর পর মঙ্গলবার রাতে সেখানে হানা দেয় গুজরাত পুলিশের ওই দল। সেখানে পৌঁছে তল্লাশি চালায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় উপস্থিত কর্মীদের। তার পর তিন মহিলা-সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। রাত ভর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গুজরাত পুলিশ। তার পর তিন মহিলাকে নোটিস দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।


তবে কল সেন্টার থেকে গ্রেফতার তিন পুরুষ কর্মী ছাড়া পায়নি। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁদের। বুধবার বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। তার পর ট্রানজিট রিম্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হবে গুজরাত। তার পর সেখানকার পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করবে বলে জানা গিয়েছে।


উল্লেখ্য করোনা কালে সাইবার অপরাধ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে সচেতনতা অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অলিগলিতে মাইকেো প্রচার করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। অচেনা নম্বর থেকে ফোন বা ভিডিয়ো কল এলে, তা ব্লক করে দেওয়ার পাশাপাশি সন্দেহ বোধ হলে পুলিশকেও জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই ঋণের নামে প্রতারণা চক্র চালানো ওই কল সেন্টারের হদিশ মিলল।