সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: অন্তত ১০০ বছরের পুরনো নিকাশি খাল। সেটাই বেআইনি ভাবে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। আর সেখান দিয়েই তৈরি হয়েছে মাছের ভেড়িতে যাওয়ার রাস্তা। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া। 


যে এলাকায় এটি ঘটেছে। সেখানে যথেষ্ট জনবসতি রয়েছে। নিকাশি খাল বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন অন্তত ২ হাজার পরিবার। নিকাশি খাল ভরাট করে তার উপর মাটি ফেলে তৈরি করা হয়েছে নতুন রাস্তা। নিকাশি নালার ওপর দিয়ে রাস্তা চলে গিয়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার পৃথীবা গ্রাম পঞ্চায়েতের যশুর ঘোষপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি খাল বুজিয়ে যেভাবে অবৈধ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, তাতে সামনে বর্ষায় জলমগ্ন হবে অন্তত ২ হাজার পরিবার। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, শাসক দলের দখলে থাকা পঞ্চায়েতের মদতে বেআইনিভাবে ১০০ বছরের পুরোনো নিকাশি খাল ভরাট করেছেন ভেড়ির মালিকরা। ভেড়ি কাটার মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে নিকাশি খাল। ইতিমধ্যে প্রশাসনের কাছে় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


তুমুল তরজা:
বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, 'তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতাদের সঙ্গে ভেড়ির মালিকের যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণে প্রশাসককে অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যেখানে বহু মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এই খালের সঙ্গে যদি প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।' পৃথীবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কামাল হোসেন বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ জানায়নি। তবে এভাবে নিকাশি খাল ভরাট করা অবৈধ। তৃণমূলের পঞ্চায়েতের কারও মদত নেই।  পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শাসক দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি।' হাবড়া এক নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনি কোনও অভিযোগ পাননি। হাবড়া ১-এর বিএলআরও মুনমুন দাস বলেন, 'আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। ভূমি রাজস্ব অধিকরণের দফতর থেকে কোনও অনুমতি ছাড়া জলাশয় পুকুর খাল ভরাট করা যায় না।'


তাহলে সবার চোখের সামনে এত বড় রাস্তা কী করে তৈরি হল? কার মদতে বুজিয়ে ফেলা হল ১০০ বছরের পুরনো নিকাশি নালা? প্রশ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। সঙ্গে রয়েছে বর্ষায় জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কা।


আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কবুল প্রভাবশালী-তত্ত্বও? খবর ইডি সূত্রে