জয়ন্ত পাল, লেকটাউন, উত্তর ২৪ পরগনা: চুরিবিদ্যা নাকি মহাবিদ্যা! ফের একবার প্রমাণিত হল। অভিনব কায়দায় চুরি এবং ছিনতাই শহরে। যদিও শেষ মেশ রক্ষা পেলেন না অভিযুক্ত। তবে তাঁর বুদ্ধির ধার দেখে হতবাক সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশও। কারণ দিনের বেলা মোটির সাইকেল চুরি করে, তাতে চেপেই নাকি রাতে ছিনতাই চালাতেন ধৃত, ধরা পরে নাকি এমনই কবুল করেছেন অভিযুক্ত (Lake Town News)। 


বাঙুর থেকে একটি মোটর সাইকেল চুরি যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল অভিযোগে


গত ১৪ এপ্রিল লেকটাউন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তাতে বাঙুর থেকে একটি মোটর সাইকেল চুরি যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে পুলিশ। তাতে হাতে আসে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। তা দেখেই এক যুবককে চিহ্নিত করে পুলিশ। তাঁর খোঁজ শুরু হয় চারিদিকে। জানা যায়, এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত বিশরপাড়ায় গা ঢাকা দিয়েছেন ওই যুবক (North 24 Parganas News)। 


এর পরই অভিযুক্তের নাগালে পেতে প্রচেষ্টা শুরু হয়। বিশরপাড়ায় হানা দেয় লেকটাউন থানার পুলিশ। সেখান থেকে সৌমিত্র সেন চৌধুরী নামের অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে দিনের বেলায় মোটর সাইকেল চুরি করতেন ওই যুবক। তার পর রাতের বেলায় চুরির ওই মোটর সাইকেলে চেপেই বারাসাত এলাকায় ছিনতাই করে বেড়াতেন। 


আরও পড়ুন: Jhargram News: খাঁ খাঁ রোদ যেন গিলে খাচ্ছিল, জলে গা ডুবিয়ে ঠান্ডা হল রামলাল


পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবকের কাছ থেকে আরও অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। অভিনব কায়দায় তিনি একা এই চুরি এবং ছিনতাইয়ের চক্র চালাতেন না, বরং একটি বৃহত্তর চক্র এর নেপথ্যে কাজ করছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, এই চক্র কতদূর এলাকা পর্যন্ত কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


দিনের পর দিন এ ভাবে চুরি এবং ছিনতাই চক্র চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত!


বুধবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু দিনের পর দিন এ ভাবে চুরি এবং ছিনতাই চক্র চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুধু তাই নয়, বৃহত্তর চক্র যুক্ত থাকলে, সে ব্যাপারে কোনও তথ্য কেন পুলিশে হাতে এল না, এর আগে চুরি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ কি জমা পড়ছিল না, এড়ানো যাচ্ছে না সেই প্রশ্নও।