সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ১৩দিন নিখোঁজ থাকার পর পুকুর থেকে বস্তাবন্দি শিশুর মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার হল। সাত বছরের শিশুকে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহত শিশুর পরিবারের। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দেগঙ্গার (Deganga) বেড়াচাঁপা সাধুখাঁ পাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ মার্চ সকালে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে যায় ওই শিশু। তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকেরা নানা জায়গায় খোঁজ করলেও, কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, এলাকায় ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার খোঁজ না পাওয়ায়, দেগঙ্গা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন তাঁরা। এদিন এলাকার লোকেরা আম গাছে ওষুধ স্প্রে করার সময় এলাকারই একটি পুকুরের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি শিশুর মৃতদেহ দেখতে পান। এরপরই নিখোঁজ শিশুর পরিবারের সদস্যদের তাঁরা খবর দেন। জানা যাচ্ছে, ওই শিশুর মা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশকর্মীরা এসে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এমন নৃশংস ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করে পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন - Panihati Murder Update: পানিহাটির নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীকে নিরাপত্তা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের
মৃত শিশুর বাবা অবিযোগ দায়ের করেছেন যে, কিছুদিন আগে প্রতিবেশী হারান পাড়ুই নামে এক স্কুল শিক্ষকের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে একটি জমি কিনেছিলেন। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার তাঁদের। ভ্যান চালিয়ে কোনওক্রমে সংসার চালান তিনি। খুব কষ্ট করে জমানো টাকা দিয়ে ওই শিক্ষকের কাছ থেকে জমি কেনার পরও তিনি জমি পাননি। পরবর্তীতে তিনি যখনই জমির টাকা ফেরত চেয়েছেন, তখনই ওই স্কুল শিক্ষক তাঁকে হুমকি দিল বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, স্কুল শিক্ষক হারান পাড়ুই-ই তাঁর ছেলেকে এমন নৃশংসভাবে খুন করেছে।
আজ সকালে স্থানীয় পুকুর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ সাত বছরের শিশুর বস্তাবন্দি মৃতদেহ। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবিতে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দেগঙ্গা থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত, সে বিষয়ও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।