সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাকুরনগরে ফের সুব্রত ঠাকুর বনাম শান্তনু ঠাকুর। বিজেপি মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা না হওয়ায়, ঠাকুরনগরে বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাত বিজেপি বিধায়কের। দুই ভাইয়ের সংঘাতে, ঠাকুরনগরে প্রকাশ্যে বিজেপির কোন্দল !  বনগাঁর বিজেপি সভাপতি বিকাশ ঘোষের গাড়ির চাকায় শিকল দিয়ে তালা লাগিয়ে দেন বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। তালা খুলতে গেলে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে সুব্রত ঠাকুরের তুমুল বচসা মোড় নেয় বলে খবর।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, বাংলাদেশে হিন্দু যুবক খুনে গ্রেফতার বেড়ে ১০, এক্স পোস্টে জানালেন ইউনূস 

Continues below advertisement

 ঠাকুরনগরের মতুয়াবাড়িতে ফের প্রকাশ্যে সংঘাত!এবার বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন দুই ভাই। বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপিরই বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪ মাস পেরোলেও দুটি মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করছিলেন না বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিকাশ ঘোষ। রবিবার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে মতুয়াবাড়িতে যান জেলা সভাপতি। অভিযোগ, বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা জেলা সভাপতির গাড়ির চাকায় চেন দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের অনুগামীরা। এরপরই দুই ভাইয়ের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ।

ঠাকুরনগরের মতুয়াবাড়িতে ফের প্রকাশ্যে সংঘাত!এবার বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন দুই ভাই। বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপিরই বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪ মাস পেরোলেও দুটি মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করছিলেন না বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিকাশ ঘোষ। রবিবার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে মতুয়াবাড়িতে যান জেলা সভাপতি। অভিযোগ, বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা জেলা সভাপতির গাড়ির চাকায় চেন দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের অনুগামীরা। এরপরই দুই ভাইয়ের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ।

এরপরই তড়িঘড়ি মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ বিজেপি সাংসদ ও সঙ্ঘাধিপতি  শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'মণ্ডল সভাপতি নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে সেটা বসে আলোচনা করে করা যেত। সুব্রত ঠাকুর গাড়িতে তালা দিয়ে ভাল করেনি।' অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের বিজেপি বিধায়ক ও সঙ্ঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুর বলেন, 'মণ্ডল সভাপতি না থাকায় ওই এলাকায় তৃণমূল এবং বামেরা জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। আজকে কর্মীদের মধ্যে কেউ বিকাশ ঘোষের গাড়িতে তালা দিয়ে দিয়েছে। আমি তালা দিইনি।'

মতুয়াবাড়িতে বিজেপির অন্দরের এই দ্বন্দ্ব সামনে আসতেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল সাংসদ ও অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর। মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে এখন বিজেপির একজন এক সাংসদ-একজন বিধায়ক! তৃণমূলেরও একজন সাংসদ-একজন বিধায়ক। এতদিন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের দুটি সংগঠন ছিল। একটির নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ মমতা ঠাকুর, অন্যটির মাথায় ছিলেন বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কিন্তু বিধানসভা ভোটের মুখে সম্প্রতি আলাদা করে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ ঘোষণা করেন সুব্রত ঠাকুর। এবার সেই সুব্রত ঠাকুরই বাদানুবাদে জড়ালেন দলের সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে।