সমীরণ পাল ও আব্দুল ওয়াহাব, উত্তর ২৪ পরগনা : মাদক আইনে জেল-ফেরত অভিযুক্তকে দলের বুথ সভাপতি করার অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বিথারি বাজারে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আহত হন ব্লক সভাপতি, যুব তৃণমূল নেতা-সহ উভয়পক্ষের ১৫ জন। এদের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি।
অভিযোগ, মাদক আইনে জেল-ফেরত অভিযুক্তকে দলের বুথ সভাপতি করার প্রতিবাদে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যুব তৃণমূল নেতা শুভম পাল। তার জেরে তাঁর ওপর হামলা চালায় ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। পাল্টা মারধর করে যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গীরা। এলাকায় উত্তেজনা থানায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে কলকাতা রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে বারবার সামনে উঠে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা। মুর্শিদাবাদে একাধিক নেতা-কর্মীর খুন হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে।
গতমাসেই খড়গপুরে প্রকাশ্য়ে এসে পড়েছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল পরিচালিত খড়গপুর পুরসভার চেয়ারপার্সনের সঙ্গে খড়গপুর শহরের যুব তৃণমূলের সভাপতির বিবাদ বাঁধে। যুব তৃণমূলের সভাপতিকে ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন চেয়ারপার্সন, এই অভিযোগে পুরসভার সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন যুব তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ অস্বীকার করেন চেয়ারপার্সন।
এদিকে, গতমাসে প্রথমে নওদার ও তারপর বড়ঞা। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়ে যান তৃণমূল কর্মী! স্থানীয়দের দাবি, মুড়ি-মুড়কির মতো গ্রামে বোমা পড়েছিল। তৃণমূল কর্মী আমির শেখকে লক্ষ্য করে ১০-১২টি বোমা ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ ২৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়।
আরও পড়ুন- মর্গে শবের স্তূপে জীবন্ত ছেলে, হাওড়া থেকে গিয়ে ফিরিয়ে আনলেন বাবা
৫ মাসে মোট ৭ বার। অভিযোগ শুধু মুর্শিদাবাদেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কখনও চলেছে গুলি। কখনও বোমাবাজি। কখনও হয়েছে মৃত্য়ু। কখনও বা গুরুতর জখম হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। আর প্রত্য়েকটা ঘটনাতেই ওঠে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?
এবিপি লাইভ এখন টেলিগ্রামেও। ক্লিক করুন- https://t.me/abpanandaofficial