সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : শ্যামনগরে মাঝপথেই ভেস্তে গেল বিজেপির চায়ে পে চর্চা (Chaye Pe Charcha)। তাঁর অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। অভিযোগ ব্যবসায়ীর। থানায় খবর দিয়ে ডাকলেন পুলিশও (Police)। ব্যবসায়ীর পরিবারের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি(BJP)। 


গরম হতে না হতেই যেন, কার্যত ঠান্ডা হয়ে গেল বিজেপির 'চায়ে পে চর্চা'। উত্তর চব্বিশ পরগনার (North 24 Parganas) শ্যামনগরে, ব্যবসায়ীর আপত্তিতে শ্যামনগরে ভেস্তে গেল বিজেপির কর্মসূচি। সোমবার সকালে, ফিডার রোডে একটি বন্ধ দোকানের সামনে ছাউনির নিচে 'চায়ে পে চর্চা'র আয়োজন করেছিল বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কর্মসূচি কিছুক্ষণ চলার পরই হঠাৎ হাজির কাপড়ের ব্যবসায়ী, শিবরাম নাথ। তাঁর দোকানের সামনে দলীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় তীব্র আপত্তি জানান তিনি। শ্যামনগরের অভিযোগকারী ব্যবসায়ী শিবরাম নাথ বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'এটা তুলুন, এটা তুলুন। দোকান এভাবে জ্যাম করে করতে পারেন না। আপনি তোলেন, আমি দোকান খুলব। আমি বারবার বলছি, দোকান খুলব।'


তাঁর এই অনুরোধে বিজেপির নেতাকর্মীরা সেভাবে কান না দেওয়ায়, শেষমেশ পুলিশে খবর দেন ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থলে আসে জগদ্দল থানার পুলিশ। এরপর সরে যান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী শিবরাম নাথ বলেছেন, 'আমি তো জানিই না, আমি বাড়িতে ছিলাম। যারা এখানে রয়েছে, সবাই চেনে। কিন্তু কেউ বলেনি, কাল রাতেও বলেনি। খুলব কি খুলব না। অনুমতি ছাড়াই এখানে বসে আছে। দোকান খুলতে পারছি না। এগুলি কি জোর জবরদস্তি হচ্ছে না কি, এটা পার্টির নামে নোংরামি হচ্ছে।'


'চায়ে পে চর্চা' কার্যত মাঝপথে ভেস্তে যাওয়ায়, এর পিছনে পরোক্ষভাবে তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি। এসেছে পাল্টা জবাবও। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "PWD-র জায়গায় করছিলাম, কারও কারও দোকানের সামনে জায়গা খালি থাকতেই পারে। অনুমতি নেওয়া হয়েছিল, আরেকজন এসে আপত্তি করেছেন। আসলে এগুলি তৃণমূলের ভয়ে করছেন। যেহেতু ওনাদের অসুবিধা হচ্ছে, তাই ছোট করে অনুষ্ঠান করেছি।" পাল্টা শ্যামনগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সমীরেন্দ্রকৃষ্ণ সাহা বলেছেন, 'সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে চালু দোকানকে বন্ধ রেখে, বিজেপি জোর করে থামিয়ে দিয়ে দোকান বন্ধ করে চায়ে পে চর্চা করছে, এইভাবে একটা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কারও অনুমতি নেয়নি, গায়ের জোরে করেছে।'


আরও পড়ুন- 'আমাকে কিনে কেউ আনেনি, বিশ্বাসঘাতকতা করিনি' দাবি বায়রনের


জনসংযোগ বাড়াতে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার 'চায়ে পে চর্চা'। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে রাজ্যস্তরের নেতা, প্রত্যেকেই সামিল হন।
কিন্তু, শ্যামনগরে স্থান বিতর্কের জেরে সেই কর্মসূচিতেই তাল কাটল।


আরও পড়ুন: বাড়িতে সহজ পদ্ধতিতে তৈরি করুন আমন্ড মিল্ক