কলকাতা: উত্তরবঙ্গে বিপর্যয় পরিস্থিতি। দ্রুত পদক্ষেপের দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, "উত্তরবঙ্গে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্সিয়ং-এর মতো এলাকা। দুর্যোগে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ও সাহায্য পাঠানো হোক এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত পুনরুদ্ধার করা হোক। বিশেষ করে জল, খাবার, ওষুধের মতো ত্রাণ সামগ্রীতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।" তিনি আরও লিখেছেন,  "উত্তরবঙ্গের মানুষের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের সবার প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।"

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল, ঢাক বাজালেন, মঞ্চে নাচের তালে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী

Continues below advertisement

পূর্বাভাস ছিল আগে। এবার তারই বাস্তব রূপ দেখা গেল উত্তরবঙ্গে। টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের জায়গায় জায়গায় ভূমি ধস। জলের তোড়ে সেখানে ভেঙেছে সেতু, নদীর গ্রাসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। GTA সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৪ জন। নিখোঁজ বহু। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রাণহানির ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় বাংলায় পোস্ট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। 

তিস্তা - বালাসনের ভয়াল রূপ! জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে সেতু, তাসের ঘরের মতো নদীতে মিশল ঘরবাড়ি, প্রকৃতির কাছে যেন তুচ্ছ সব, বিপন্ন বন্যপ্রাণ,লাগাতার বৃষ্টি ও তার সঙ্গে ভুটান থেকে নেমে আসা জলে, উৎসবের মরশুমেই বিপর্যয় নেমে এল উত্তরবঙ্গে। ফুঁসছে তিস্তা, বালাসন। ভাঙল দুধিয়া ব্রিজ। দুর্যোগে মৃত বহু। প্রাণ বাঁচাতে জল-যুদ্ধ।উদ্ধারকার্যে NDRF। কার্যত বানভাসি নাগরাকাটা। সেই সঙ্গে মৃত্যুমিছিল! বিভিন্ন জায়গায় ধস নামায় প্রাণ গেছে অনেকের। নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। বাকিদের উদ্ধারকাজে রবিবার সকাল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাত লাগায় সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।মিরিক ব্লক দুধিয়া বাসিন্দা বলেন, এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছি। এই দুর্যোগের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।  গত কয়েকদিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। তার জেরে ভুটান পাহাড় বেয়ে জল নামতে শুরু করে নীচের দিকে। সেই জল নামায় ফুলেফেঁপে ওঠে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকার মতো পাহাড়ি নদী গুলি।জলের তোড়ে ভেঙে যায় দার্জিলিঙের মিরিক ব্লকের দুধিয়া সেতু। কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিলিগুড়ি ও মিরিকের রাস্তা।উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে, এক্স হ্যান্ডলে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় লিখেছেন, ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত দার্জিলিং এবং আশপাশের এলাকার পরিস্থিতির উপর প্রশাসন গভীরভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।