সনৎ ঝা ও অমিতাভ রথ: করোনা (Corona) সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। বন্ধ রাখা হয়েছে পর্ষটন কেন্দ্রগুলি। এই পরিস্থিতে ৫০ শতাংশ পর্যটক নিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলি খোলার আর্জিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটরদের একাংশ। পাশাপাশি, বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরতে শুরু করেছেন পর্যটকরা।
রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৯ হাজার পেরিয়ে গেছে। এখনও সতর্ক না হলে, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব পর্যটন কেন্দ্র, সাফারি পার্ক। এতেই মাথায় হাত পড়েছে ট্যুর অপারেটরদের। ৫০ শতাংশ পর্যটক নিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলি খোলার আর্জিতে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হতে চলেছেন উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটরদের একাংশ।
ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। কিন্তু, সরকার বিধি নিষেধ জারির পরই পরই বাতিল হয়েছে প্রায় সমস্ত বুকিং। এক ধাক্কায় কার্যত পর্যটক শূন্য হয়ে গিয়েছে পাহাড় থেকে ডুয়ার্স। ফলে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ বলেন, উত্তরবঙ্গে এই পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে কয়কলক্ষ মানুষ। যাদের এই শিল্পের মাধম্যে রুজিরুটি চলে। তবে এই বিধিনিষেধে প্রচুর মানুষের রুজিরুটিতে টান পড়বে। যেখানে শপিংমল সিনেমা হল সব ক্ষেত্রেই ৫০% লোক নিয়ে খোলা থাকছে।সেখানে পর্যটন কেন্দ্রগুলি ৫০% পর্যটক নিয়ে খোলা হোক। এবিষয়ে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস কোঅর্ডিনেটর গৌতম দেব বলেন, “জীবনটা বাঁচাতে হবে। পরিস্থিতি বিপজ্জনক তাই করা হয়েছে। এটা মানতে হবে।’’
দুদিন আগেও থিকেথিকে ভিড় ছিল বেলপাহাড়ি, গোপীবল্লভপুর সহ ঝাড়গ্রামের অন্যান্য পর্ষটনস্থলগুলি। কিন্তু মঙ্গলবার ছবিটা বদলে গেছে। ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরছেন পর্যটকরা। হোটেলগুলিতেও বন্ধ বন্ধ বুকিং। ঝাড়গ্রাম ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের ম্যানেজার নিমাই ঘটকের কথায়, “নতুন বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। পর্ষটন ব্যবস্থার ক্ষতি হবে।’’ করোনার কারণে বুকিং বাতিল হওয়ায়, মন খারাপ হলেও, প্রশাসনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন পর্যটক থেকে চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: Micro Containment Zone: করোনা সংক্রমণ রুখতে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলিতে ফিরল মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন