সুদীপ চক্রবর্তী, ইসলামপুর : কাঁকসার পর ইসলামপুর (Islampur)। দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) ক্যাম্পে চলল তৃণমূলের তাণ্ডব। গ্রামবাসী হয়রানির শিকার হচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দিঘলবস্তিতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে ভাঙচুরের অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


ক্যাম্পে তাণ্ডব !


গত ১ এপ্রিল থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দূয়ারে সরকার ক্যাম্প। চলছে রমজান মাস। এদিকে সকাল থেকে প্রখর রোদ। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের আগডিমঠি খন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে অসংখ্য মানুষ ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সরকারি কর্মীরা ক্যাম্পে হাজির হন বলে অভিযোগ ।


ক্যাম্প চালু হলেও সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র(ফর্ম) অপ্রতুল থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসী ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু হলেও, ফর্ম না থাকায় চরম হয়রানির শিকার হন বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ক্যাম্পের সমস্ত আসবাবপত্র বারান্দা থেকে বাইরে ফেলে দেন আকবর আলিরা।


ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ইসলামপুর থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আগডিমঠি খন্তি অঞ্চলের সরকারি আধিকারিক সাগরাম  সোরেন জানান, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম এখনও দেওয়া হয়নি। এনিয়ে গ্রামবাসী সমস্যায় পড়েন। দ্রুত নাম লিখে বিভাগগুলিতে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


গত ১ এপ্রিল থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দূয়ারে সরকার ক্যাম্প। চলছে রমজান মাস। এদিকে সকাল থেকে প্রখর রোদ। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের আগডিমঠি খন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে অসংখ্য মানুষ ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সরকারি কর্মীরা ক্যাম্পে হাজির হন বলে অভিযোগ ।


ক্যাম্প চালু হলেও সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র(ফর্ম) অপ্রতুল থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসী ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু হলেও, ফর্ম না থাকায় চরম হয়রানির শিকার হন বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ক্যাম্পের সমস্ত আসবাবপত্র বারান্দা থেকে বাইরে ফেলে দেন আকবর আলিরা।


ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ইসলামপুর থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আগডিমঠি খন্তি অঞ্চলের সরকারি আধিকারিক সাগরাম  সোরেন জানান, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম এখনও দেওয়া হয়নি। এনিয়ে গ্রামবাসী সমস্যায় পড়েন। দ্রুত নাম লিখে বিভাগগুলিতে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


পয়লা এপ্রিল 'দুয়ারে সরকারে'র প্রথম দিনেই বিক্ষোভ ছড়ায়! পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়, তৃণমূল সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলেরই নেতা ! অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী।


কাঁকসা। শনিবার, দুয়ারে সরকার চলাকালীন সেখানে ঢুকে বিদ্যুৎ দফতরের টেবিল উল্টে দেন খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সদস্য। এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায় পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। অভিযোগ, কাঁকসার বিদবিহারের দুই বাসিন্দা আগের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছিলেন। ৫ মাস কেটে গেলেও, এখনও তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি।


শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। ওইদিন, এই দুই গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পে আসেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান তাঁরা। ধমকও দেওয়া হয় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের। বচসা চলাকালীনই, বিদ্যুৎ দফতরের টেবিল উল্টে দেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।


রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার কথা শুনে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক ক্যাম্পে গেছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, আবেদনকারীরা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেননি, তাই পরবর্তী পদক্ষেপগুলো করা যায়নি। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে এবং ক্যাম্পের কাজ আবার শুরু হয়েছে।


পূর্ব বর্ধমানের গলসিতেও দুয়ারে সরকার ক্য়াম্পে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ, আগের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করে, এখনও সরকারি সুবিধা মেলেনি। বিক্ষোভের জেরে গলসি এক নম্বর ব্লকে প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ পরিষেবা থাকে।


আরও পড়ুন ; 'টেবিল উল্টে বিদ্যুৎ কর্মীদের ধমক', তৃণমূল সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই চড়াও শাসক নেতা