সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর : তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে (TMC Inner Clash) নতুন করে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুরের আতালডাঙ্গি এলাকা। ছররা গুলির পাল্টা এবার তৃণমূল বিধায়কের অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল দলেরই জেলা সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ব্লক সভাপতি ও বিধায়ক, দু’জনেই অশান্তির দায় চাপালেন একে অন্যের ঘাড়ে। 


শাসক-কোন্দলে এবার শাসক-নেতার ঘরেই আগুন। দাউদাউ করে জ্বলল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের আতালডাঙ্গি এলাকা। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election ) মিটে যাওয়ার পরও ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল।


মঙ্গলবার জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর অনুগামীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সেদিন ছররা গুলিতে জখম হন ২২ জন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলেরই একাংশের রোষের শিকার হলেন ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল সদস্য বদরুল জামাল। তিনি চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল ইসলামের অনুগামী বলে পরিচিত। বুধবার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।


ইসলামপুরের (Islampur) কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েত এবার বিরোধীশূন্য। এই অঞ্চলে জেলা পরিষদের আসনে, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে, নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আর্জুনা বেগম। তৃণমূল প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন। এই পরিস্থিতিতে ভোটপর্ব মেটার পরেও অব্যাহত তৃণমূলের কোন্দল। ছররা গুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।

                                                                                                                     


আরও পড়ুন: JU Student Death Arrest: যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত আরও ছয়জন কারা ? কী তাদের পরিচয় ?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial