কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) স্ক্যানারে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের(Kuntal Ghosh) সঙ্গে বনির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে (SSC Case)। সেই তথ্য যাচাইয়ের জন্য অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে কাল সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ। শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত, তবে ইডি-র তরফে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল, জানিয়েছেন অভিনেতা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেন বনি। পরে যদিও পদ্মের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। উল্টে তৃণমূলের প্রচারে দেখা মিলতে শুরু করে।


কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বনির সংযোগ উঠে আসে


নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ ধরা পড়ল টলিপাড়ার। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বনির সংযোগ উঠে আসে। দেখা যায়, কুন্তলের কাছ থেকে টাকা গিয়েছিল বনির অ্যাকাউন্টে। মোটা টাকার লেনদেন হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। সেই তথ্যকে সামেন রেখেই বনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীকে। শুক্রবার সেই মতো ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। 


শুধু বনিই নন, কুন্তলের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও একাধিক ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে, যাঁদের কাছে টাকা পৌঁছে গিয়েছিল। সম্প্রতি এক বিউটা পার্লারের মালিকের নামও উঠে আসে। তাই বনির নাম পাওয়ার পর, অভিনেতাকে তলব করা হয়। শুক্রবার বেলা ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছতে হবে তাঁকে। 


আরও পড়ুন: Satish Kaushik Last Post: ২ দিন আগেও মেতেছিলেন আবির খেলায়, ফেসবুকে এখনও ঝলমলে সতীশ কৌশিকের হোলির শেষ পোস্ট


ফোনে এবিপি আনন্দকে ইডি-র কাছ থেকে তলবের বিষয়টি স্বীকার করে নেন বনি। জানান, নিয়োগ দুর্নীতিতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। ইডি-র তরফে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে বনি হাজিরা দেবেন কিনা, তা যদিও জানাননি। এই মুহূর্তে শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেন বনি


উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে রাজনীতিতে নাম লেখান টলিউডের উঠতি অভিনেতা বনি। তবে তৃণমূল নয়, বিজেপি-র হাত ধরেন তিনি। তদানীন্তন তৃণমূল ত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনিকে বিজেপি-তে স্বাগত জানান। ঘটনাচক্রে ওই একই সময়ে বনির মা পিয়া সেনগুপ্ত এবং বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেন। নির্বাচন মেটার পর রাজীব নিজেই তৃণমূলে ফিরে আসেন। ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন বনিও। তার পর পৌর নির্বাচনের সময় জোড়াফুলের প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। এ বার যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গে সংযোগ ধরা পড়ল তাঁর।